আর্সেনালের পুরোনো সমর্থকদের ম্যাচটি ভুলে যাওয়ার কথা। চ্যাম্পিয়নস লিগে এখন পর্যন্ত আর্সেনালের সেরা সাফল্য ২০০৬ আসরে রানার্সআপ হওয়া। এর পরের বছরই আসে বড় ধাক্কা, বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় শেষ ষোলোতেই।
যে দলের কাছে হেরে অমন দুরবস্থা, ১৮ বছর পর সেই একই দলকে একই মঞ্চে পেয়ে এবার রীতিমতো ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে আর্সেনাল। চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলোর প্রথম লেগের খেলায় আজ পিএসভি আইন্দহফেনকে তাদেরই মাঠে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে মিকেল আরতেতার দল। চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে নকআউট পর্বে প্রতিপক্ষের মাঠে ৭ গোলের ঘটনা এটিই প্রথম।
দেড় যুগ আগে আর্সেনাল শেষ ষোলোয় হেরেছিল দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ ব্যবধানে হেরে, এর মধ্যে আইন্দহফেনের ফিলিপস স্টেডিয়নে হার ছিল ১-০ ব্যবধানে। আজ সেই একই মাঠে আরতেতার দল নেমেছিল তেমন কিছুর পুনরাবৃত্তির শঙ্কায়। একে তো প্রিমিয়ার লিগের সর্বশেষ দুই ম্যাচেই ধাক্কা (ওয়েস্টহামের কাছে হার, নটিংহামের সঙ্গে ড্র), তারওপর চোটের কারণে দলে নেই বুকায়ো সাকা, গ্যাব্রিয়েল জেসুস, গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লিরা।
তবে প্রতিকূলতার এমন সময়েই আর্সেনাল ম্যাচে পেয়েছে একের পর এক উৎসবের মুহূর্ত। শুরুটা হয় ১৮ মিনিটে জুরিয়েন টিম্বারের গোলে। তিন মিনিট বাদে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইথান নোয়ানেরি। আর ৩১ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ হয় মিকেল মেরিনোর সৌজন্যে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ৪৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে পিএসভিকে গোল এনে দেন নোয়া লাং। ৩-১ ব্যবধান নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে নামা আর্সেনাল পরের ৪৫ মিনিটে করে আরও চার গোল, দুটিই মার্টিন ওডেগার্ডের (৪৭ ও ৭৩ মিনিটে)। অন্য দুটি লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড (৪৮) ও রিকার্ডো ক্যালাফিওরির (৮৫)।ম্যাচের এই অংশে কোনো গোল করতে না পারা পিএসভি মাঠ ছেড়েছে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় ঘরের মাঠে সবচেয়ে বেশি ৭ গোল হজমের যন্ত্রণা নিয়ে।
বড় ব্যবধানে জিতে পরের পর্বে এক পা দিয়ে রাখা আর্সেনাল শেষ আটে মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ-আতলেতিকোর মধ্যে জয়ী দলের। বার্নাব্যুতে হওয়া ম্যাচে রিয়াল প্রথম লেগ জিতেছে ২-১ গোলে। আজ রাতের অন্য ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলা ৩-১ গোলে হারিয়েছে ক্লাব ব্রুগাকে, তবে জার্মান ক্লাব ডর্টমুন্ড নিজেদের মাঠে এগিয়েও লিওর বিপক্ষে মাঠ ছেড়েছে ১-১ ড্র নিয়ে।