সেই ডেলিভারি কি ঠিক ছিল? 

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২১, ১০:১১ পিএম

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৮ রান। বল হাতে তুলে নেন অধিনায়ক নিজেই। প্রথম বল ডট, এরপর টানা দুই বলে দুই উইকেট। চতুর্থ বলে ৬ আর পঞ্চম বলে উইকেট। ফলে শেষ বলে সমীকরণ এসে দাঁড়ায় ১ বলে ২। শেষ বলে ঘটে যায় নাটকীয় ঘটনা। বল ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ, কিন্তু আম্পায়ার বলটাকে দেন ডেড। কারণ, ব্যাটার নাকি প্রস্তুত ছিলেন না। কিন্তু ভিডিওতে দেখা যায় বল ছাড়ার পরও অপ্রস্তুত ছিলেন না ব্যাটার। কিন্তু বল পিচড হওয়ার পর শেষ মুহূর্তে আচমকা সরে যান তিনি। বল গিয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে। 

তবে আউট দেননি আম্পায়ার। খেলা শেষে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে এই বল নিয়ে। বাংলাদেশ অধিনায়ক আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকেই মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে। 

ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ বলেন, “একদম শেষ মুহূর্তে সে সরে গেছে। তো আম্পায়ারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম বলটা বৈধ কিনা? আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমরা আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।”

সাধারণত বল ডেলিভারির আগে সমস্যা হলে না খেলার আপত্তি জানাতে পারেন কোনো ব্যাটার। বোলার তখন বল ছুড়লেও ব্যাটারের অবস্থা দেখে আম্পায়ার ডেড বল কল করতে পারেন। কিন্তু বল ডেলিভারি করার পর পিচডও হয়ে গিয়েছিল, তখন প্রস্তুত অবস্থা থেকে কোনো ব্যাটারের হঠাৎ অপ্রস্তুত হওয়ার ঘটনা একদমই বিরল।

এই ব্যাপারে দেশের শীর্ষ স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে আম্পায়ার শরফুদৌল্লাহ ইবনে শহিদ সৈকত বলেন, “টিভিতে হয়তো দেখা গেছে একটু লেট, তবে ডেড বল ডাকার অধিকার আছে আম্পায়ারের। কোনো কারণে, ধরেন নো এ্যাজ বা সামনে দিয়ে পাখি যেতে পারে। হয়ত টিভিতে অন্যরকম দেখা গেছে। কিন্তু আম্পায়ার ডেড বল ডেকেছে। ব্যাটসম্যানের চোখের সামনে যদি হঠাৎ পাখি উড়ে যেত, মাছি ঢুকে যেত তাহলে কী করত? অতএব আম্পায়ারের একটা ডিসকাশন আসলে থাকে।”

কিন্তু আজকের ম্যাচে তো আর মাছি বা পাখি উড়ে যায়নি। তাহলে পরিস্থিতি কেমন হবে? এই বিষয়ে সৈকত বলেন, “ওটা মাপতে গেলে আসলে কঠিন। এটা রাইটলি স্পোটিংলি একসেপ্ট হয়েছে, দ্যাট ইজ ফাইন।”

আরও সংবাদ