ওয়ানডে সিরিজ

জিম্বাবুয়ের মাটিতে লজ্জার হাত থেকে রক্ষা পাকিস্তানের

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৭:২২ পিএম
সেঞ্চুরিয়ান সাইম আইয়ুবকে সতীর্থ আব্দুল্লাহ শফিকের শুভেচ্ছা। ছবি : সংগৃহীত

১৯৯৫ সালের ঘটনা। জিম্বাবুয়ের টেস্ট স্ট্যাটাস লাভের আড়াই বছর পর হারারেতে তারা সফরকারী, শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে ইনিংস ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। এবার সেই জিম্বাবুয়ের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ হারের মুখে পড়েছিল পাকিস্তান দল। মঙ্গলবার বুলাওয়েতে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেলেই জিম্বাবুয়ে সিরিজ জিতে নিতো ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের বিপক্ষে। না, শেষ পর্যন্ত বেঁচে গেল পাকিস্তান। সাইম আইয়ুবের সেঞ্চুরিতে অবশ্য দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তারা জিতে সিরিজে সমতা এনেছে। 

প্রথম ওয়ানডেতে ৮০ রানে জয়লাভ করেছিল স্বাগতিকরা। বৃহস্পতিবার দু’দলের সিরিজ নির্ধারণী লড়াই।  

জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৪৬ রানের লক্ষ্য পাকিস্তান পেরিয়েছে ১৯০ বল এবং ১০ উইকেট হাতে রেখেই। বড় ব্যবধানের এই জয় নিশ্চিত করার পথে ৫৩ বলেই ওয়ানডেতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সাইম আইয়ুব। যা ফরম্যাটটিতে পাকিস্তানি কোনো ব্যাটারের তৃতীয় দ্রুততম। বাঁ-হাতি এই ওপেনার শেষ পর্যন্ত ১১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৬২ বলের ইনিংসে ১৭টি চার ও ৩টি ছয় হাঁকান সাইম। আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক করেন অপরাজিত ৩২ রান।

এর আগে বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। নিজেদের ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে ক্রেইগ আরবাইনের দলটি। দলীয় ৬ রানে ওপেনার তাদিওয়ানাশি মারিমানি (৪), ২৩ রানে জয়লর্ড গাম্বি (৫) আউট হলে স্বাগতিকরা বিপদে পড়ে যায়। এরপর কয়েকজন ব্যাটার থিতু হলেও ইনিংস লম্বা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেছেন ডিওন মায়ার্স। এ ছাড়া শন উইলিয়ামস ৩১, অধিনায়ক আরবাইনের ১৮ ও সিকান্দার রাজার ১৭ রানই কেবল সম্বল ছিল জিম্বাবুয়ের। ৩২.৩ ওভারে তারা অলআউট হয়ে যায় ১৪৫ রানে। বিপরীতে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন স্পিনার আবরার আহমেদ। এ ছাড়া সালমান আগা ৩ এবং সাইম আইয়ুব ও ফয়সাল আকরাম একটি করে শিকার ধরেন।

১৪৬ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন সাইম। তার সঙ্গে শফিকের ওপেনিং জুটিতে ১০ ওভারেই পাকিস্তান ৭১ রান তোলে। একপ্রান্তে সাইম দ্রুতগতিতে রান তুললেও, শফিক ছিলেন শান্ত-ধীরস্থির। শেষ পর্যন্ত দুজন অপরাজিত থেকেই পাকিস্তানের বড় জয় নিশ্চিত করেন। এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরাল পাকিস্তান। সিরিজের শেষ ম্যাচে জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান ২৮ নভেম্বর মুখোমুখি হবে একই ভেন্যুতে।