সফরকারী আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে। যার প্রথমটি বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের সবগুলো ম্যাচ।
সিরিজের জন্য বাংলাদেশ দল ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে। মূল মঞ্চে দুই দলের সামনে চ্যালেঞ্জও অনেক বড়। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ খেলবে তারা। এই সিরিজে পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও বাংলাদেশ দল খেলবে তিন ম্যাচের একটি সিরিজ। এই ছয় ম্যাচেই নির্ধারিত হবে চ্যাম্পিয়নশিপে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে কি না। ফলে এক অর্থে বাংলাদেশের জন্য সিরিজ দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তবে এখেই এসব নিয়ে ভাবছেন না বাংলাদেশের অধিনায়ক ও কৃতি ব্যাটার নিগার সুলতানা জ্যোতি।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জ্যোতি বলেন, বিশ্বকাপের চিন্তা তো অনেক পরে। এখন আমাদের ম্যাচ বাই ম্যাচ মনোযোগ দেওয়া উচিত। আমাদের হাতে এটাসহ দুইটা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আছে। পয়েন্ট নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজ ধরে যদি চিন্তা করি, সেটা ভালো হবে। তাই এই পয়েন্টগুলো নেওয়ার দিকে মনোযোগ থাকবে বেশি।’
তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং। আমরা যদি এখান থেকে ভালো একটা সিরিজ শেষ করতে পারি, দল হিসেবে অবশ্যই পরের সিরিজে আমাদের মানসিকভাবে এগিয়ে রাখবে।’
নারী চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ১২ ম্যাচের কোনোটিতেই জেতেনি আয়ারল্যান্ডের মেয়েরা। শেষ ছয় ম্যাচে তাদের জয় তিনটি। অবশ্য বাংলাদেশের সঙ্গে মুখোমুখি পরিসংখ্যানে ছয় ম্যাচে স্রেফ একটি জয়ই পেয়েছে তারা। নিজেদের মাটিতে তাই আইরিশ মেয়েদের বিপক্ষে খুব বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন না জ্যোতি।
অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আয়ারল্যান্ড যেসব ম্যাচ জিতেছে, সবগুলো ঘরের মাঠের কন্ডিশনে জিতেছে। এই কন্ডিশনে ওদের তেমন ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। জেতার হার বেশি নয়। ওদের সঙ্গে যতবার খেলেছি, আমাদের জয়ের হার অনেক বেশি। যেহেতু ঘরের মাঠে খেলা, যে কেউ নিজের ঘরের মাঠের কন্ডিশনে বেশিই শক্তিশালী হয়।’
তবে প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নিতেও রাজি নন জ্যোতি। তিনি বলেন, ‘আমি বলবো প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। যেহেতু আমাদের ৬ পয়েন্ট নিতে হবে, খুব গুরুত্বপূর্ণ সিরিজটা। প্রতিটা ম্যাচ মূল্যবান। আয়ারল্যান্ড আমাদের চেয়ে র্যাঙ্কিংয়ে নিচে। যদি আমরা তাদের বিপক্ষে দাপট দেখিয়ে খেলতে না পারি, তাহলে বড় দলগুলোর বিপক্ষে কীভাবে চোখে চোখ রেখে লড়াই করব।’