বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা নারী ভারোত্তলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। তিনি ফের নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন। ভারত্তোলন ফেডারেশনের জিমনিশিয়ামে সপ্তম আন্তঃসার্ভিস ভারত্তোলন প্রতিযোগিতায় মাবিয়া নতুন এক রেকর্ড গড়লেন।
২৫ বছর বয়সী মাদারীপুরের মেয়ে মাবিয়া দুইবার এসএ গেমসে স্বর্ণপদক জয় করেন। এই ভারত্তোলক মাবিয়া বাংলাদেশ আনসারের হয়ে খেলেন। রোববার ৭১ কেজি ওজন শ্রেণীতে প্রথম স্থান ধরে রাখার পাশাপাশি রেকর্ডও করেছেন। ভারত্তোলনের দু’টি অংশ ক্লিন ও জার্ক। দুই বিভাগেই তিন কেজি করে বেশি তুলেছেন। ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১১ কেজি উত্তোলন করেছেন।
মুদি দোকানির মেয়ে মাবিয়া নিজেই যেন নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। এ নিয়ে মাবিয়া মন্তব্য, ‘আসলে এখন লড়াইটা নিজের সঙ্গে নিজেরই। প্রতি টুর্নামেন্টে চেষ্টা থাকে বিগত ওজন ছাড়িয়ে যাওয়ার।’ ২০১৪ সাল থেকে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হচ্ছেন সীমান্ত। গত এক দশকে অনেক বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন এবং রেকর্ড গড়েছেন, রেকর্ড ভেঙেছেন। তাই নিজের কীর্তি নিজেরই মনে রাখা কষ্টকর, ‘ঠিক মনে নেই, কতবার রেকর্ড হলো বা ভাঙলাম। যত দিন খেলব তত দিনই রেকর্ড করতে চাই।’
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মাবিয়া ২০১৬ ও ২০১৯ সালে এসএ গেমসে ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণীতে খেলেছিলেন। ভারত্তোলনের বয়সের সঙ্গে ওজনের শ্রেণী বদলায়। গত বছর থেকে ৭১ কেজিতে খেলছেন। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাহরাইনে বিশ্ব ভারত্তোলন চ্যাম্পিয়নশীপ খেলবেন এই ওজন শ্রেণীতেই। তার সঙ্গী আনসারের আরেক ভারত্তোলক বাকী বিল্লাহ।
ঘরোয়া পর্যায়ে রেকর্ডের পর রেকর্ড দক্ষিণ এশিয়ার গন্ডির বাইরের পারফরম্যান্স তেমন আশাব্যাঞ্জক নয়। মামার হাত ধরে এই খেলার সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া মাবিয়া এই সম্পর্কে জানান, ‘আমার ওজন শ্রেণীতে এশিয়ান সেরার মানদন্ডে কয়েক কেজি পিছিয়ে। একজন ভারত্তোলকের খাবার, অনুশীলন, কোচ থেকে শুরু করে অনেক বিষয় জড়িত। বাংলাদেশের ভারত্তোলকরা সব কিছুতেই পিছিয়ে। ফলে বড় পর্যায়ে ভালো করা দুঃসাধ্যই।’