সেই এন্টিগায় কাল উইন্ডিজের বিপক্ষে নামছে টাইগাররা

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৪, ০৫:৫৯ পিএম
অনুশীলনের সময় কথা বলছেন সহকারী কোচ সালাউদ্দিন ও ক্রিকেটার লিটন দাস। ছবি : সংগৃহীত

২০১৮ সালে বাংলাদেশ দল শেষ বারের মতো টেস্ট ম্যাচ ও টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ছয় বছর আগের সেই সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন অন্যতম বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এরপর অবশ্য মোট চারটি টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছে ক্যারিবিয়ানদের কাছে। তবে ছয় বছর আগের সুখস্মৃতি নিয়েই এবার দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।

শুক্রবার রাত ৮টায় এন্টিগা স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে প্রথম টেস্ট। এরপর ৩০ নভেম্বর থেকে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে কিংস্টনে। তারপর তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ এবং এই দুই ফরম্যাটের সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।  

এন্টিগার ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ছবি : সংগৃহীত

ফরম্যাট যাই হোক, এন্টিগা মানেই বাংলাদেশের ব্যর্থতা। টেস্টের সর্বনিম্ন রানের লজ্জাও আছে এই ভেন্যুতে। এবার ২০১৮ সালের সিরিজ জয়ের মধুর স্মৃতি নিয়ে অন্তত লজ্জার বৃত্ত ভাঙ্গার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের তরুণ দলটির।  

স্যার ভিভ রিচার্ডস, কার্টলি এমব্রোসের মত কিংবদন্তিদের উঠে আসা এই এন্টিগা থেকে। কিংবদন্তি ভিভের নামেই নামকরণ এন্টিগার ক্রিকেট স্টেডিয়াম। অবশ্য তিনি কখনো এ মাঠে খেলেননি। তবে নর্থ সাউন্ডের গ্যালারিতে দেখা যায় তাকে।

২০০৭ বিশ্বকাপ ঘিরে তৈরি হয় ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়াম। সমুদ্রের বেশ কাছাকাছি হওয়ায় প্রবাহিত হিম বাতাস। যা প্রভাব ফেলে বলের গতি আর সুইংয়ে। ২০১০ সালে ঝড়ো বাতাসের কারণে অস্থায়ী টেন্ট উড়ে গিয়ে গ্যালারিতে আছড়ে পড়েছিল। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-ইংল্যান্ড ম্যাচ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ১০ বলের মধ্যে। বাজে পিচের কারণে এই খেলা পরবর্তীতে গড়ায় বারবাডোজে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজে টাইগারদের ভয় এ মাঠেই সবচেয়ে বেশি। তিন ফরম্যাটের ছয় ম্যাচে, কখনো জিততে পারেনি টিম বাংলাদেশ। এবার সেই হারের বৃত্তও ভাঙতে চায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন টেস্ট স্কোর ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে। ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৩ রানে অলআউট হয়েছিল সাকিব আল হাসানের দল। ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২৪ টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরে এন্টিগায় বাংলাদেশ হেরেছে বড় ব্যবধানে।

অবশ্য এখানকার উইকেট ব্যাটিং সহায়ক। প্রথম দু’দিন বোলারদের জন্য সুবিধা থাকলেও ব্যাটাররা নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে ম্যাচ। তৃতীয় ও চতুর্থ দিন উইকেট ধীরে ধীরে স্লো হয় এবং স্পিনারদের জন্য কার্যকারী হয়ে উঠে। সাধারণত পঞ্চম দিন উইকেট ভাঙতে শুরু করে।