ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষরা ক্যামেরুনের, এত দিনে জানলেন রিয়াল তারকা

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৪, ১২:০৩ পিএম
ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে নিয়ে নাটকের শেষ নেই। এবার জানা গেল, তার পূর্বপুরষদের নিয়ে নতুন কাহিনি।

বুধবার সকালে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এক ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল ও উরুগুয়ে। ম্যাচের আগে গা গরম করছিলেন ব্রাজিলের ফুটবলাররা। ঠিক তখনই শুরু হয় ‘গোল্ডেন রুটস’ কার্যক্রম।

কৃষ্ণাঙ্গ সচেতনতা দিবস উপলক্ষে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের শিকড় খুঁজে বের করার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ)। খেলোয়াড়দের কার কোন বংশ, কোথায় ছিলেন পূর্বপুরুষরা, সেটা খুঁজে বের করাই ছিল এই কার্যক্রমের উদ্দেশ্য।

সেই অনুসন্ধানের একটি প্রতিষ্ঠান সিবিএফের এই কার্যক্রমের অংশীদার। উরুগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের ১-১ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচটি শুরুর আগে সেই কার্যক্রমে ব্রাজিল তারকা ভিনিসিয়ুসের ডিএনএ পরীক্ষায় জানা গেল, তার পূর্বপুরুষরা ছিলেন ক্যামেরুনের অধিবাসী।

সিবিএফ সভাপতি এদনালদো রদ্রিগেজ ও ভিনিসিয়ুসের বাবা ভিনিসিয়ুস হোসে পাইহাও দে অলিভেইরা উপস্থিত ছিলেন সেখানে। ডিএনএ পরীক্ষার পর ভিনিসিয়ুসকে একটি সার্টিফিকেটও দেওয়া হয় এবং স্টেডিয়ামের বড় পর্দায় দেখানো হয় ভিডিও।

ব্রাজিল-উরুগুয়ে ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন ভিনিসিয়ুসের বাবা। রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডের মতো তিনিও জানতেন না তাদের পূর্বপুরুষরা কোথা থেকে ব্রাজিলে এসেছেন। ডিএনএ পরীক্ষা শেষে জানতে পেরেছেন তারা এসেছেন ক্যামেরুন থেকে।

ম্যাচ শুরুর আগে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ভিনিসিয়ুসের হাতে তাদের রুট-সনদ তুলে দেওয়া হয়। সেটিই দেখানো হয় স্টেডিয়ামের জায়ান্ট স্ক্রিনে।

ভিনিসিয়ুসের বাবা এই ব্যাপারটিতেই দারুণ রোমাঞ্চিত। তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম না আমরা কোথা থেকে এসেছি। এখন জানতে পারলাম। আমাদের জন্য এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অনেক ব্রাজিলিয়ান আসলে জানে না তাদের পূর্বপুরুষ কোথায়, তারা কোথা থেকে চলে এসেছে। অবশ্য আমি এটা জেনে খুশি যে, আমরা ক্যামেরুন থেকে এসেছি।’