তেলের দামের সাইকোলজিক্যাল প্রাইসিং

লিটন চন্দ্র ভৌমিক প্রকাশিত: মে ৬, ২০২২, ০৮:২৫ এএম

সয়াবিন তেলের দাম ২০০ টাকা না করে ১৯৮ টাকা রাখায় রাষ্ট্র ও ব্যবসায়ীদের বুদ্ধির তারিফ করতে হয়।

২০০ আর ১৯৮ টাকার মধ্যে ডিফারেন্স দুই টাকা হলেও সাইকোলজিক্যাল ডিফারেন্সটা বিশাল। আমরা বাম থেকে ডানে পড়ি। ২০০ টাকা দাম হলে বামের অঙ্কটা ২ দিয়ে শুরু, অন্যদিকে ১৯৮ টাকা দাম হলে ১ দিয়ে শুরু। এটা মনস্তাত্ত্বিকভাবে ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি দেয়।

সাইকোলজিক্যাল প্রাইসিং ব্যবসায়ীরা ভালোই জানে। ২০০ টাকা না করে একটু নিচে রাখার ফলে কিছু ক্রেতা বলবে তেলের দাম বাড়ছে ঠিকই, কিন্তু এখনো ২০০ টাকার নিচেই তো আছে। জনরোষ তুলনামূলক কম হবে।

১৯৮ টাকা দাম হলেও আপনাকে কিন্তু ২০০ টাকা দিতে করতে হবে। কারণ আপনি লজ্জায় ২ টাকা চাইবেন না।

অন্যদিকে মূল দাম ১৯৮ টাকার মধ্যে ভ্যাট ইনক্লুডেড। বাকি ২ টাকার মধ্যে ভ্যাট নেই। প্রতিবছর বাংলাদেশে ২০ লাখ টন সয়াবিন তেল বিক্রি হয়। প্রতি কেজিতে ব্যবসায়ীরা ২ টাকা ট্যাক্স-ফ্রি নিলে ওটাও বিশাল।

উন্নত দেশগুলোতে জিনিসের দাম কখনো রাউন্ড ফিগারে দেখবেন না। দশমিক শব্দটার লাগামহীন ব্যবহার দেখবেন। $9.99, $4.99, $9.95 ... কিন্তু টাকা নেওয়ার ক্ষেত্রে রাউন্ড ফিগারে নেওয়া হয়।

আমাদের দেশে বাটা সু কোম্পানি এটি ব্যাপকভাবে প্র্যাকটিস করে। তারা সব সময় দাম প্রিন্টেড করে 999.50 bdt, 1999 bdt ... এবং কখনো তারা 50p/1tk ব্যাক করে না। বাটা প্রতিবছর যদি এক কোটি জোড়া জুতা বিক্রি করে এবং এরকম প্রত্যেকের থেকে 50 পয়সা করে নেয়, তাদের ৫০ লাখ কালো টাকা ইনকাম হয়ে যায়। যা মূল আয়/লাভের সম্পূর্ণ বাইরে।