করোনার সংক্রমণ রোধে এক দিগন্তকারী যন্ত্র আবিস্কার করেছে ক্ষুদে বিজ্ঞানী রিয়াদ আহমেদ শিথিল। যন্ত্রটির নাম দিয়েছে, কোভিড- ১৯ সেফটি ফেইস মাস্ক ডিটেকটিভ ইন ডোর।
রিয়াদ ক্ষুদে বিজ্ঞানী হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিত। বর্তমানে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলাধীন পান্টি ডিগ্রি কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সে। রিয়াদ ওই উপজেলার পান্টি গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনার মহামারি থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই। তার আগে সবাইকে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহারের প্রতি নজর দিতে হবে। কিন্তু জনসাধারণ নিয়ম ভেঙে মাস্ক ছাড়াই অফিস, আদালত, ধর্মীয় ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করেন। এতে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে, অন্যদিকে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রবণতা বাড়ছে। সংক্রমণ কমাতে রিয়ান আহমেদ একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন। নাম দিয়েছেন কোভিড- ১৯ সেফটি ফেইস মাস্ক ডিটেকটিভ ইন ডোর। যন্ত্রটির সুবিধা হলো, ফেস মাস্ক ছাড়া প্রবেশ করতে পারবে না কেউ। শুধু মুখে মাস্ক থাকলে একটি সবুজ বাতি জ্বলে উঠবে এবং দরজা খুলে যাবে। মাস্ক না থাকলে মাস্ক পরার অনুরোধ করা হবে। মাস্ক থাকলে প্রবেশকারীকে স্বাগতম জানাবে যন্ত্রটি।
সরকারি বা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় উদ্যোগটি বাস্তবায়ন হলে করোনা মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন ব্যক্তিরা।
জানা যায়, উপজেলা প্রশাসন আয়োজনে ৪২ তম বিজ্ঞান মেলায় অংশ নেয় এই ক্ষুদে বিজ্ঞানী। পান্টি কলেজ থেকে অংশ নিয়ে ‘কোভিড- ১৯ সেফটি ফেইস মাস্ক ডিটেকটিভ ইন ডোর’ উপস্থাপনা করেন। মেলায় প্রথম স্থান অর্জন করে রিয়াদ। তার এই সময়োপযোগী আবিষ্কারের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে ভূয়সী প্রশংসাও পেয়েছেন।
ক্ষুদে বিজ্ঞানী রিয়াদ আহমেদ শিথিল বলেন, মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে চাইলে বাধা দিবে কোভিড- ১৯ সেফটি ফেইস মাস্ক ডিটেকটিভ ইন ডোর। শুধু মাস্ক থাকলে ওই ডোরের ভেতর দিয়ে ঢুকা যাবে। মাস্ক থাকলে একটি সবুজ বাতি জ্বলে উঠবে এবং দরজা খুলে যাবে। মাস্ক না থাকলে মাস্ক পরার অনুরোধ করা হবে। মাস্ক থাকলে প্রবেশকারীকে স্বাগতম জানানো হবে।
রিয়াদের মা শেলী খাতুন বলেন, “খুব ছোট থেকেই বিজ্ঞান নিয়ে চিন্তা ভাবনা রিয়াদের। দরিদ্র হওয়ায় এগোতে পারিনি। কারো সহযোগিতা পেলে ভালো কিছু করবে ছেলে।”