‘প্রতিটি ঘরে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে চায়’ 

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০২২, ০৫:০৪ পিএম
ফাইল ছবি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‍“২০২৫ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রামকে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবলে সংযুক্ত করে উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় আনা হবে।” 

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভা কক্ষে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ইন্টারনেটকে সহজ-সুলভ করার পাশাপাশি এর সচেতনতার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হবে।”

সেই সঙ্গে ইন্টারনেট সেবাকে পঞ্চম মৌলিক সেবা হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করতে আইএসপিএবিসহ আইসিটি পরিবারকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
   
এ সময় গ্রামকে শহরে পরিণত করতে ‘ডিজিটাল ইকোনিমির লাইফ লাইন’ ইন্টারনেট উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “বিদ্যুৎ যেভাবে ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে, সেভাবে প্রতিটি ঘরে উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে চায়। এই লাস্টলাইন সল্যুশনটি আইএসপিএবি’র সদস্যদের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে আজ একটি কার্যকরি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। এ জন্য আইসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজাউল মকছুদ জাহেদীকে প্রধান করা হয়েছে। এছাড়া এই কমিটিতে সমন্বয়ক হিসেবে থাকবেন আইএসপিএবি সভাপতি।” 

পলক বলেন, “সবার কাছে সুলভে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে ইন্টারনেট সেবাদাতারা। তাই উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আমরা এক পরিবার হয়ে কাজ করব। অল্পদিনের মধ্যেই পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলসের অধীনে ২০২৪ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামে ফাইবার অপটিক ক্যাবল পৌঁছে দিতে আইএসপিএবি’র সদস্যদের মাধ্যমে এক লাখ নয় হাজার এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ২০ লাখ কানেক্টিভিটি স্থাপন করা হবে।” 

এদিকে আইএসপিএবি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অন্যতম অংশীদার উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “স্বল্পমূল্যে একই দরে ইন্টারনেট সেবা বাস্তবায়ন করতে ইন্টারনেট সেবাদাতাদের জন্য রাউটার, সুইচ আমদানি কর শূন্য করা এবং তাদের সেবাকে আইটিইএস সেবার অন্তর্ভূক্ত করতে রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দেওয়া হবে।”

এছাড়াও ইন্টারনেটে শিশুদের নিরাপদ রখাতে এবং ইন্টারনেট কনেটেন্টে শৃঙ্খলা রাখতে আইএসপিএবি’র মাধ্যমে একটি ‘ডিজিটাল নেটওয়ার্ক ল্যাব’ স্থাপনে আইসিটি বিভাগে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলেও জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী ইন্টারনেট সেবাদাতা সংগঠন আইএসপিএবি’র নবনির্বাচিত কমিটির চারটি প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।

আইএসপিএবি পরিচালক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, আইএসপিএবি’র সভাপতি মো: এমদাদুল হক, আইএসপিএবি’র মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক, সহ সভাপাতি আনোয়ারুল আজিম, যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আব্দুল কাইয়্যুম রাশেদ, কোষাধ্যক্ষ মোঃ আসাদুজ্জামান, পরিচালক সাকিফ আহমেদ প্রমুখ।