বছরের সেরা স্মার্টফোন-গ্যাজেট-গেম

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২১, ০৭:৪৬ পিএম

বছরজুড়ে ছিল নতুন মোবাইলের সমাগম। আইফোন, স্যামসাংসহ অন্য ব্যান্ডের স্মার্টফোনও এই বছর বাজারে এসেছে। সেই সঙ্গে বাজারের নতুনভাবে এসেছে দুর্দান্ত সব গেমিং ল্যাপটপ, ট্যাব, স্মার্ট হোম, স্মার্ট ওয়াচসহ অন্যান্য ডিভাইস ও গ্যাজেট। ২০২১ সালের বাজারে লঞ্চ হওয়া বিশেষ কয়েকটি ফোন ও গ্যাজেট দিকে ফিরে দেখবো এই আয়োজনে।

আইফোন ১৩
এ বছর লঞ্চ হয়েছে আইফোন ১৩ সিরিজ। ১৪ সেপ্টেম্বর এই সিরিজের ফোন লঞ্চ হয়। এর মধ্যে রয়েছে আইফোন ১৩, আইফোন ১৩ মিনি, আইফোন ১৩ প্রো এবং আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স—এই চারটি মডেল। আইফোন ১৩ সিরিজের ৪টি মডেলেই রয়েছে অ্যাপেলের নতুন এ১৫ বায়োনিক প্রসেসর। আইফোন ১৩ ও আইফোন ১৩ মিনিতে পাওয়া যাবে সুপার রেটিনা এক্সডিএ ডিসপ্লে, আইপি ৬৪ রেটিং, এ১৪ বায়নিক প্রসেসর, ১২ মেগাপিক্সেল ডুয়েল রিয়ার ক্যামেরা ও আইওএস ১৫ অপারেটিং সিস্টেম। একইসঙ্গে রয়েছে কোয়াড কোরের নতুন জিপিইউ ও নিউরাল ইঞ্জিন ১৬ কোরের। ১২৮ জিবি / ২৫৬ জিবি / ৫১২ জিবি স্টোরেজ কনফিগারেশনে আইফোনের এই মডেল দুটি এসেছে। অ্যাডভান্সড বোকেহ এবং ডেপ্থ কন্ট্রোলের সঙ্গে পোট্রেট মোড আইফোন ১৩ ও আইফোন ১৩ মিনির ক্যামেরা ফিচারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও এতে ন্যাচারাল, স্টুডিও, স্টেজ, হাই-কী মনো-সহ ছ'টি এফেক্টের পোট্রেট লাইটিং, স্মার্ট এইচডিআর ৪, নাইট মোড, ডিপ ফিউশন, অ্যাডভান্সড রেড আই কারেকশন, অটো ইমেজ স্টেবিলাইজেশন, বার্স্ট মোড, এবং ফোটো জিওট্যাগিংয়ের সুবিধা রয়েছে।

আইপ্যাড নাইন্থ জেন ও আইপ্যাড মিনি
আইফোন ১৩ এর সঙ্গে আইপ্যাডের আরও দুটি নতুন মডেল এই বছর বাজারে এনেছে অ্যাপল। এর মধ্যে রয়েছে নবম সংস্করণ আইপ্যাড নাইন্থ জেন ও আইপ্যাড মিনি। বছরের শুরুতে বাজারে আসে আইপ্যাড প্রো। নতুন আইপ্যাড ও আইপ্যাড মিনিতে রয়েছে নতুন আপগ্রেড। গ্রে, পিঙ্ক, পার্পল আর স্টারলাইট এই ৪টি রঙে পাওয়া যাচ্ছে আইপ্যাড মিনি। আগের আইপ্যাডের চাইতে এটি ৪০ শতাংশ দ্রুত কাজ করতে সক্ষম। এতে আছে ৮ দশমিক ৩ ইঞ্চির লিকুইড রেটিনা ডিসপ্লে ও অ্যাপলের অত্যাধুনিক এ১৫ বায়োনিক চিপসেট। ভিডিও কনফারেন্সের সুবিধায় এতে যুক্ত হয়েছে নতুন প্রযুক্তির ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা। এর উপরে রয়েছে টাচ আইডি সাপোর্টেড পাওয়ার বাটন। নিচে রয়েছে চার্জ দেওয়ার জন্য দ্রুতগতির ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট। ৫জি নেটওয়ার্কের  সঙ্গে এতে অ্যাপলের টাচ পেনও ব্যবহার করা যায়।
অন্যদিকে আইপ্যাড নাইন্থ জেনে রয়েছে এ১৩ বায়োনিক চিপসেট। ২৫৬ জিবি থেকে ৬৪ জিবি স্টোরেজ সুবিধা থাকছে এতে। একবার চার্জে সারাদিনের চলবে। সেন্টার স্টেজ ও অ্যাম্বিয়েন্ট লাইট সেন্সর ফিচারের মতো বেশকিছু নতুন সুবিধাও যোগ হয়েছে এতে।

অ্যাপেল ওয়াচ ৭
স্মার্টফোনের পাশাপাশি আইফোন এই বছর লঞ্চ করেছিল অ্যাপেল ওয়াচ ৭ সিরিজ। এটি একটি IP6X রেটেড ডিভাইস। ধুলোবালির ক্ষেত্রে এই স্মার্টওয়াচ রেসিসট্যান্ট। বড় ডিসপ্লে রাখা হয়েছে এই স্মার্টওয়াচে।

স্যামসাং স্মার্টফোন
ফোল্ডেবল এবং ফ্লিপ স্মার্টফোনটি এই বছরই লঞ্চ করেছে স্যামসাং গ্যালাক্সি। এছাড়াও স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফোল্ড ৩ এবং স্যামসাং গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ ৩ বাজারে এসেছে। স্যামসাং গ্যালাক্সি এস২১ আলট্রায়  ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার ম্যাডনেস রয়েছে। আলট্রা সনিক ইন-ডিসপ্লে ফিংগারপ্রিন্ট, স্টিরিও স্পিকার রয়েছে এই ফোনটিতে। স্মার্টফোনটির ডিসপ্লে ৬.৮ ইঞ্চি, প্রসেসর এক্সিনোজ ২১০০, মেইন ক্যামেরা ১০৮ মেগাপিক্সেল  কোয়াড ক্যামেরা, ফ্রন্ট ক্যামেরা: ৪০মেগাপিক্সেল, র্যাম ১২জিবি/১৬জিবি, স্টোরেজ ১২৮জিবি/২৫৬জিবি/৫১২জিবি, ব্যাটারি ৫০০০ মিলিএম্প। যার দাম ধরা হয়েছে ৭৯৯ ডলার।
স্যামসাং গ্যালাক্সি জি ফোল্ড ৩ ফোল্ডেবল ডিভাইস। এর মাল্টিটাস্কিং এক্সপেরিয়েন্স তুলনামূলকভাবে অনেক উন্নত। এই ফোনটির ডিসপ্লে ৭.৬ইঞ্চি, প্রসেসর স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮, মেইন ক্যামেরা ১২মেগাপিক্সেল থ্রিপল ক্যামেরা, ফ্রন্ট ক্যামেরা ১০মেগাপিক্সেল,র্যাম ১২জিবি, স্টোরেজ ২৫৬জিবি/৫১২জিবি এবং ব্যাটারি ৪৪০০মিলিএম্প। ফোনটির দাম ১ হাজার ৫৯৯ মার্কিন ডলার।

অপো ফাইন্ড এক্স৩ প্রো
২০২১ সালেই অপো ফাইন্ড এক্স৩ প্রো এসেছে বাজারে। অপো’র টপ টিয়ার ফ্ল্যাগশিপ সিরিজ, ফাইন্ড এক্স এর লেটেস্ট সংযোজন এই ফোনটিকে সেরা স্মার্টফোনের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে। ফোনটির ডিসপ্লে ৬.৭ইঞ্চি, প্রসেসর স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮, মেইন ক্যামেরা ৫০মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরা, ফ্রন্ট ক্যামেরা ৩২মেগাপিক্সেল, র্যাম ৮জিবি / ১২জিবি / ১৬জিবি, স্টোরেজ ২৫৬জিবি/৫১২জিবি, ব্যাটারি ৪৫০০মিলিএম্প। যার দাম রয়েছে  ৮৫০মার্কিন ডলার।

ওয়ানপ্লাস ৯ প্রো
হ্যাসেলব্লেড-টিউনড ক্যামেরার ওয়ানপ্লাস ৯ প্রো বছরের সেরা স্মার্টফোনের একটি। স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮ প্রসেসরের পাশাপাশি এতে রয়েছে কোয়াড ক্যামেরা সেটআপ। ফোনটির ডিসপ্লে ৬.৭ইঞ্চি, প্রসেসর স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮, মেইন ক্যামেরা ৫০মেগাপিক্সেল কোয়াড ক্যামেরা, ফ্রন্ট ক্যামেরা ১৬মেগাপিক্সেল, র‌্যাম ৮জিবি/১২জিবি, স্টোরেজ ১২৮জিবি/২৫৬জিবি এবং ব্যাটারি রয়েছে ৪৫০০মিলিএম্প।

হুয়াওয়ে
নিত্যনতুন ডিভাইস নিয়ে বাজারে টিকে থাকার চেষ্টায় চীনা টেক জায়ান্ট হুয়াওয়ে। এই বছর মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি ২০২১) অনুষ্ঠানে ফাইভজি প্রযুক্তিসহ ৫টি ডিভাইস বাজারে এনেছে হুয়াওয়ে। ওয়ান প্লাস এন ফাইভজি প্রযুক্তিকে পরিচয় করিয়ে দিতে ও অত্যাধুনিক নানা সেবা দিতে সাহায্য করবে এসব পণ্য। ৫টি ডিভাইসেই মাল্টি অ্যান্টেনা টেকনোলজি ব্যবহার করেছে হুয়াওয়ে। এছাড়াও নতুন ডিভাইসগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪০০ মেগাহার্টজের আল্ট্রা-ওয়াইডব্যান্ড, ম্যাসিভ এমআইএমও, লাইট ওয়েইট ম্যাসিভ এমআইএমও, ব্লেডএএইউ প্রো: এ প্লাস পি সলিউশন, আল্ট্রা-ওয়াইডব্যান্ড ব্লেড আরআরইউ প্রো, কমার্শিয়াল এফডিডি ম্যাসিভ এমআইএমও। প্রতিটি পণ্যই নেটওয়ার্কিং ও টেলিযোগাযোগ পরিসেবার কাজে ব্যবহার হচ্ছে।

শাওমি মি ১১ আলট্রা
শাওমি মি ১১ আলট্রায় রয়েছে তিনটি ৪৮মেগাপিক্সেল ব্যাক ক্যামেরা, একটি ১.১ইঞ্চি সেকেন্ডারি ডিসপ্লে। বছরের সেরা স্মার্টফোনের তালিকায় রয়েছে ফোনটি। শাওমি মি ১১ আলট্রার ডিসপ্লে ৬.৮১ইঞ্চি, প্রসেসর স্ন্যাপড্রাগন ৮৮৮, মেইন ক্যামেরা ৫০মেগাপিক্সেল থ্রিপল ক্যামেরা, ফ্রন্ট ক্যামেরা ২০ মেগাপিক্সেল, র্যাম ৮জিবি/১২জিবি, স্টোরেজ ২৫৬জিবি/৫১২জিবি এবং ব্যাটারি ৫০০০মিলিএম্প।

শাওমি স্মার্টচশমা
১০৮ মেগাপিক্সেলের বেশ কয়েকটি ফোন এই বছর লঞ্চ করেছে শাওমি। সেই সঙ্গে লঞ্চ করেছে স্মার্টওয়াচও। শুধু তাই নয়, এই বছর গ্রাহকদের জন্য় ‘স্মার্টগ্লাসেস’ বা স্মার্টচশমাও এনেছে চীনা সংস্থা শাওমি। এই চশমায় নানা ধরনের অদ্ভূত ও চমকপ্রদ ক্রিয়াকলাপ দেখা যাবে। এই চশমায় রয়েছে সেনসর এবং ইমেজিং সিস্টেম। যা দিয়ে ‘নেভিগেশন’ বা দিকনির্ণয় করা যাবে। এই চশমা পরলে চোখের সামনে যেকোনো বিদেশি লেখা অনুবাদ হয়ে যাবে। স্মার্ট এই চশমার ওজন মাত্র ৫১ গ্রাম, যা বেশ আরামদায়ক ও হালকা। এতে মাইক্রোলেড অপটিক্যাল ওয়েভগাইড প্রযুক্তির ব্যবহৃত হয়েছে। যার সাহায্যে আক্ষরিক অর্থেই চোখের সামনে নোটিফিকেশন এবং মেসেজ ভেসে উঠবে। এই চশমার সাহায্যে ফোন করা এবং ছবিও তোলা যাবে।

রিয়েলমি ওয়্যারলেস এয়ারবাড
নতুন ওয়্যারলেস এয়ারবাড এই বছর বাজারে এনেছে রিয়েলমি। নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিবে বাডস কিউ২ মডেলের ট্রু ওয়্যারলেস স্টেরিও (টিডব্লিউএস) ইয়ারবাডস। দুর্দান্ত অডিও কোয়ালিটি আর সর্বোচ্চ ব্যাটারি সেবা রয়েছে এতে। নতুন স্মার্ট এই গ্যাজেটে বিল্ট-ইন ৪০ এমএএইচ ব্যাটারি রয়েছে। পাশাপাশি চার্জিং কেসের সঙ্গেও ৪০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি যুক্ত থাকছে। ডিভাইসটির বিশেষত্ব হচ্ছে, সপ্তাহে মাত্র একবার চার্জ দিয়ে  প্রতিদিন গড়ে প্রায় তিন ঘণ্টা ব্যবহার করা যাবে। এয়ারবাডসহ চার্জিং কেসটি সম্পূর্ণ চার্জ হতে সময় নিবে আড়াই ঘণ্টা। আর শুধু চার্জিং কেস সম্পূর্ণ চার্জ হতে সময় নেয় দুই ঘণ্টা। এর ১০মিমি বেস বুস্টার ড্রাইভার ও রিয়েলমি বেস ইনহ্যান্সমেন্ট এলগোরিদম নিশ্চিত করে স্পষ্ট আওয়াজ আর স্টেরিও মিউজিকের অভিজ্ঞতা। এছাড়াও রয়েছে রিয়েলমির অত্যাধুনিক বেস বুস্ট প্রযুক্তি ও ক্যালাইডোস্কোপ ডিজাইন। ওজন মাত্র ৪ দশমিক ১ গ্রাম। ইনটেলিজেন্ট টাচ কন্ট্রোল, পানি প্রতিরোধী ফিচারসহ ইয়ারবাডসটি পাওয়া যাচ্ছে নীল ও কালো দু’টি রঙে। এর দাম পড়বে মাত্র ১,৯৯৯ টাকা।

গেমিং ল্যাপটপ
নিট্রো৫ সিরিজের নতুন গেমিং ল্যাপটপ এই বাজারে এনেছে এসার। ৮ জিবি র‍্যাম আর ৫৭ দশমিক ৫ ডব্লিউ এইস ব্যাটারির হাই পারফরম্যান্সের ল্যাপটপ নিট্রো৫ এ এন ৫১৫-৪৪। উইন্ডোজ টেন অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে এতে আছেএ এম ডি রাইজেন ৫ ৪৬০০ এইচ প্রসেসর। আর হাই রেজুলিউশনে গেম খেলার জন্য থাকছে ১৫.৬ ইঞ্চির ১৯২০*১০৮০ মেগাপিক্সেল এফ এইচ ডি আইপিএস ডিসপ্লে। এছাড়াও আছে এনভিডিয়া জি ই ফোর্স জি টি এক্স ১৬৫০ গ্রাফিক্স কার্ড। ৮ জিবি র‍্যাম এবং ২৫৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ রয়েছে ল্যাপটপে। দীর্ঘক্ষণ কাজ করার জন্য যুক্ত করা হয়েছে ৫৭.৫ ডব্লিউ এইস ব্যাটারি। ৪৫ মিনিটের মধ্যেই এটি ৫০% চার্জ করা সম্ভব। ফুল সাইজ কিবোর্ডের সঙ্গে আছে একটি ৭২০ পিক্সেলের এইচডি ওয়েবক্যাম। অবসিডিয়ান ব্ল্যাক রঙেই পাওয়া যাচ্ছে ল্যাপটপটি। বাংলাদেশি টাকায় এর দাম ১ লাখ ২ হাজার টাকা।

পাবজি গেম
গেমের দুনিয়ায় এই বছর বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছে পাবজি গেম। অন্য নাম নিয়ে এই ব্যাটেল রয়্যাল গেম লঞ্চ হয়। প্রায় ১০০ মিলিয়ন খেলোয়াড়দের সঙ্গে প্রতিদিন গেমিংয়ের সুযোগ পায় গেমাররা। বিতর্কিত এই গেমটি প্রবর্তিত হয়  ২৩ মার্চ ২০১৭ সালে। পরে নির্মাতা ব্রেন্ডন গ্রিন এবং পিইউবিজি কর্পোরেশন ডেভলপমেন্ট হেড তাইসোক জ্যাং পিসি, কনসোল এবং মোবাইল ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে তাদের battle royal গেমটি উন্নত করে। গেমটির ডিজাইনার হচ্ছেন  ব্রেন্ডন গ্রিন, কম্পোজার টম সালতা, ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন গুলো হলো পিইউবিজি কর্পোরেশন, ক্রাফটন, টেনসেন্ট গেমস, বক্স গেমস স্টুডিও। তারাই গেমটি পাবলিশ করেছেন। প্রতিদিন বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩ কোটি মানুষ এই গেম খেলে। সব বয়সীদের কাছেই এই গেমটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই বছর।