কোনো একটা ঘটনা ঘটবে, তারপর এই সরকারের টনক নড়বে; গত দুই মাস এমন একটা সাধারণ প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। খাগড়াছড়ির দীঘিনালার ঘটনার ক্ষেত্রেও একই তরিকা দেখা গেছে।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ঘটে যাওয়া ঘটনার বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী শনিবার বলেছেন, ‘ভবিষ্যতে যারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করবে, তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমরা একটি উচ্চপর্যাযের তদন্ত কমিটি গঠন করব। আইনশৃঙ্খলা কোনো অবস্থায় অবনতি হতে দেওয়া যাবে না। ... কেউ যদি আইনশৃঙ্খলার অবনতি করে, তাদের কোনো অবস্থায় ছাড় দেওয়া হবে না।’
পিটিয়ে মারার গুজব
ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে প্রথমে বলা হয় যে মো. মামুন নামের এক বাঙালিকে পাহাড়িরা পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় বাঙালিরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পিটিয়ে হত্যার কথা দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়া যে একটা গুজব ছড়ানোর মেশিন তা কারও অজানা নয়।
অথচ পুলিশ বলেছে ভিন্ন কথা। খাগড়াছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল বাতেন মৃধা বলেছন, ‘মোটরসাইকেল চুরি করে পালানোর সময় বৈদ্যুতিক পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু ঘটে। নিহত মামুনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৪টি চুরি ও ২টি মাদক মামলা রয়েছে।’ সূত্র : যুগান্তর
এরপরে মামুনের স্ত্রী মুক্তা আক্তার যে মামলা করেন, সেখানে গণপিটুনির কোনো কথাই উল্লেখ করেননি। তিনি তার স্বামী হত্যার জন্য যে তিনজনকে আসামি করেছেন তারা সবাই বাঙালি। মামুনের হত্যার ঘটনা ঘটেছে খাগড়াছড়িতে, আর আদিবাসীদের বাড়িঘরে হামলা হয়েছে দীঘিনালায়।
দীঘিনালার ঘটনা কি হঠাৎ করে ঘটেছে
প্রশ্ন হচ্ছে, দীঘিনালার ঘটনা কি হঠাৎ করে ঘটেছে? গত ১১ সেপ্টেম্বর ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ’ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিন জেলার জন্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০ বাতিল করার দাবি জানিয়েছে। কাজী মো. মজিবর রহমান বলেছেন, ‘এই আইনের মাধ্যমে উপজাতিদের একক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।’ তারা এই আইনকে ‘কালো আইন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং এই আইন বাতিলের দাবিতে তিন জেলা ও ঢাকায় মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও প্রতিবাদ করেছেন বলে জানিয়েছেন। তারা পাহাড় থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবির বিরোধিতাও করেছেন। ১৯০০ সালের শাসনবিধি বাতিলের দাবি যে উপজাতিদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ঘটনাটা তাই ঘটেছে। ১৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে আদিবাসীদের স্মরণকালের বড় মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তারা ৮ দফা দাবি উত্থাপন করে, যার অন্যতম হচ্ছে চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০বাতিল করা যাবে না। এই সমাবেশের পর কাকতালীয়ভাবে মোটরসাইকেল চুরি করে পালানোর সময় বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে একজনের মৃত্যু হয়। তাকে পাহাড়িরা পিটিয়ে হত্যা করেছে এমন গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে ফেলা হয়। প্রশাসনের উচিত ছিল দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা। তা করা হয়নি, রাতে আদিবাসীদের পাড়ায় গুলি চলেছে, বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে, গুলিতে অন্তত চারজনের গ্রাণ গেছে- এই সব ছবি, ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াছে; তাতে অনুমান করা যায় প্রশাসন বুঝে না বুঝে ওই গোষ্ঠীর ফাঁদে পা দিয়েছে।
পাহাড় উপদেষ্টাদের কাছে গুরুত্ব পায়নি
পাহাড়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তোলার প্রাথমিক প্রদক্ষেপ হিসেবে বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করার যথেষ্ট সময় পেলেও উপদেষ্টারা গুরুত্ব দিয়েছে, এমন আলামত দেখা যায়নি। বরং ১৯০০ সালের শাসন বিধি বাতিলের ইস্যুতে পাহাড় যে ধীরে ধীরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে সেই পরিস্থিতিও তারা আঁচ করতে পারেনি। হয়তো তারা ভেবেছে সরকারের মধ্যে আদিবাসীদের একজন প্রতিনিধি যখন আছেন তখন পাহাড়ের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকা যায়। এই উপদেষ্টাকে নিয়োগ দেওয়ার সময় আদিবাসীদের অনেকে তার বিরোধিতা করেছেন, তা করেছেন তাঁর যোগ্যতার ঘাটতি আছে এই জন্য নয়, তাঁদের অভিযোগ ছিল এই উপদেষ্টার সঙ্গে সাধারণ আদিবাসীর কোনো সম্পর্কই নেই। তিনি আগের সরকারের সুবিধাপ্রাপ্ত জনবিচ্ছিন্ন একজন মানুষ, তিনি কি করে সাধারণ আদিবাসীদের প্রতিনিধিত্ব করবেন? আলোচ্য ঘটনা সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টার সেই জনবিচ্ছিন্নতাই প্রমাণিত হয়েছে।
পাহাড়ে বৈষম্য বেড়েছে
পাহাড়ে বৈষম্য একটা চরম বাস্তবতা এবং এই বৈষম্য বহুমাত্রিক। এই বৈষম্য কেবল বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে রয়েছে তা নয়, পাহাড়ে বসবাসকারী বিভিন্ন জাতিগুলোর মধ্যেও রয়েছে। অন্যদিকে সমতলের মানুষের মতো পাহাড়ের মানুষও বিগত পনেনো বছর তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। ভোট নিয়ে যে তামাশা হয়েছে সেটাও আদিবাসী ও বাঙালি উভয় জনগোষ্ঠীর মনে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। বিগত বছরগুলোতে পাহাড়ে সব স্তরে বৈষম্য অনেক গুণ বেড়েছে। বিগত ১৫ বছর আওয়ামী শাসনের কারণে সরকার দলীয় আদিবাসীদের একটা গোষ্ঠীর আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার ঘটনা চোখের সামনেই ঘটেছে। তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়ার ঘটনা সাধারণ আদিবাসীদের জীবন-মানের কোনো পরিবর্তন ঘটাতে পারেনি, ফলে তাদের মধ্যে ক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্র হয়েছে।
কেবল তা-ই নয়, তাদের আদিবাসী পরিচয়টুকুও মুছে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। একসময় পাহাড়ের জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী বলা হলেও বিগত সরকার একসময় তা অস্বীকার করে। বরং ‘বাঙালিরাই আদিবাসী’ এই ধরনের কুতর্ক বিগত সরকার উসকে দিয়ে তাদের অধিকারগুলোকে অস্বীকার করেছে। আদিবাসী শব্দ লেখা কোনো ব্যানার নিয়ে পাহাড়ে কিংবা সমতলে রাস্তায় দাঁড়াতেই দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে পাহাড়ের বাঙালিদের কেউ কেউ ক্ষমতা কাঠামোর মধ্যে ঢুকে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করলেও বেশির ভাগ বাঙালির জীবনমান বিগত ১৫ বছরে আরও নিচে নেমে গেছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের মধ্যেও তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আদিবাসী ও বাঙালি উভয়ের জন্য যে কর্মসংস্থানের দরকার, তা উপেক্ষিত ছিল কথিত উন্নয়নের প্রচারণায়। সমস্যা হচ্ছে তাদের দুরবস্থার জন্য পরিকল্পিতভাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা হচ্ছে পুরো আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে, যা সমতলে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে কিছু হিন্দুর সুবিধা পাওয়ার দরুন সমস্ত হিন্দুকে অভিযুক্ত করার মতোই। তবে যেভাবেই উপস্থাপিত হোক না কেন, বাঙালিদের জীবনমান যে নিচে নেমে গেছে, তা অস্বীকার করা যাবে না। বিষয়টা পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কয়েকটা দাবির মধ্যে ফুটে ওঠে। তারা বলেছে:
১. ব্যাংকঋণের ক্ষেত্রে ‘উপজাতিদের’ কোনো সুদ দিতে হয় না, অথচ বাঙালিদের চড়া সুদ দিতে হয়। ‘উপজাতিদের’ ঋণ মওকুফ করা হয়, বাঙালিদের জেলহাজতে ঢোকানো হয়।
২. কোটার কারণে ‘উপজাতিরা’ ৮০ শতাংশ শিক্ষিত, আর বাঙালিরা মাত্র ২০ শতাংশ শিক্ষিত।
৩. তিন জেলা পরিষদে ৯২ থেকে ৯৫ শতাংশ নিয়োগ দেওয়া হয় ‘উপজাতি’, আর হিন্দু বৌদ্ধসহ বাঙালি নিয়োগ পায় ৫ শতাংশ।
আগেই বলেছি, পাহাড়ে বাঙালিদের জীবনমানের অবনমনের জন্য বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের বৈষম্যমূলক ও পীড়নমূলক নীতি দায়ী। কিন্তু ক্ষোভটা তাদের বিরুদ্ধে না গিয়ে চলে যাচ্ছে সমগ্র আদিবাসীদের ওপর। যদিও সাধারণ আদিবাসীর জীবনমানের সঙ্গে সাধারণ বাঙালিদের জীবনমানের সে রকম কোনো তফাত লক্ষ করা যায় না।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা কি পাহাড়ে কাজ করবে না?
শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে জুলাইজুড়ে যে ছাত্র-জনতার আন্দোলন হয়েছে সেখানে পাহাড় ও সমতলের বিভিন্ন জাতির ছাত্র-যুবকদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। খাগড়াছড়িতেও আদিবাসী ও বাঙালি যুবকদের এই আন্দোলনে সামিল হতে দেখা গেছে। আদিবাসী ছাত্র-যুবকরা মনে করেছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় দেশে গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, বৈষম্য হ্রাস পাবে, একইসঙ্গে পাহাড়েও বৈষম্যের অবসান হবে,গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে উঠবে।
এ জন্য তারা যে আট দফা দাবি দিয়েছে তার প্রথম দাবিই হচ্ছে পাহাড়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি।
কিন্তু কীভাবে যেন তাদের দাবিগুলো পরিবর্তিত হয়ে গেছে; তারা নাকি দাবি করেছে স্বাধীন জুমল্যান্ড এবং তারা নাকি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে। আদিবাসীরা বলেছে তারা সেনা শাসনের বিরুদ্ধে, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয়। আদিবাসীদের যারা ভালো চান, তাদের অনেকেও দাবিগুলোর দিকে দৃষ্টি না দিয়ে ‘স্বাধীন জুমল্যান্ডের’ কথা বলেছেন।
কথা হচ্ছে, পাহাড়ে সেনাসদস্যদের যে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছে সেখানে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ হয়েছে কি না? আদিবাসীদের দিক থেকে এই পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ বারবার উঠেছে। পুলিশি শাসন কিংবা সেনা শাসন কোনোটাই প্রত্যাশিত নয়, যেটা দরকার সেটা হচ্ছে গণতান্ত্রিক শাসন।
আদিবাসীরা দাবি করেছে তাদের ভূমির অধিকারের, স্ব স্ব জাতির স্বীকৃতির, পার্বত্য চুক্তির বাস্তবায়ন।
এই দেশ বহু জাতির দেশ- আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসন এত দিন এই সত্যটাকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। এই চেষ্টা স্বাধীনতার পরও হয়েছে। কেবল বাঙালি জাতিই এই দেশে বাস করে না, পাহাড়ে ও সমতলে ছোট বড় বহু জাতি বসবাস করে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থান এই সত্যটাকে আবার সামনে নিয়ে এসেছে, বলা হচ্ছে জনসংখ্যা যত কমই থাকুক তাদেরকে জাতিই বলতে হবে। নতুন করে সংবিধান পুনঃলিখনের যে দাবি উঠেছে সেখানে জাতিগুলোর স্বীকৃতির দেওয়া হবে, যা স্বাধীনতার পর থেকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের অন্ধ আবেগে উপেক্ষিত ছিল। ফলে আদিবাসীদের এই দাবি ইতিমধ্যে স্বীকৃত হয়ে আছে। এ ছাড়া শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ও অনেক আগ থেকে স্বীকৃত।
তাদের ৮ দফা দাবি নিম্নরূপ
১. পাহাড়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
২. পাহাড়ে সেনা শাসন বন্ধ করা
৩. স্ব স্ব জাতিস্বত্তার স্বীকৃতি দিতে হবে
৪. আদিবাসী স্বীকৃতি দিতে হবে।
৫. কল্পনা চাকমা, তনু হত্যার বিচার চাই।
৬. এক দেশে দুই নীতি মানব না।
৭. পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের ভূমির অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
৮. অবিলম্বে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।
পাহাড় কি ইনক্লুসিভ বাংলাদেশের বাইরে থাকবে
এখন জুলাই গণ-অভ্যুত্থনে মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক শাসনের দাবি উঠেছে, উঠেছে ইনক্রুসিভ বাংলাদেশের দাবি। প্রশ্ন উঠেছে পাহাড়ে কি গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে, পাহাড় কি ইনক্লুসিভ বাংলাদেশের বাইরে থাকবে? এখানে বড় ধরনের অগ্নিপরীক্ষা অপেক্ষা করছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কুশীলব ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য। আমরা জানি ছাত্র-জনতার আত্মদান কখনোই যৌক্তিক পরিণতিতে যেত না আমাদের দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের ভূমিকা না থাকলে, ফলে এই অভ্যুত্থান এক অর্থে ছাত্র-জনতা ও সেনা অফিসারদের অভ্যুত্থান। দেশকে ফ্যাসিস্ট শাসনমুক্ত করার কুশীলবদের একাংশ সেনাবাহিনী। ফলে তাদেরও ব্যর্থ হওয়া যাবে না। আমাদের ছাত্র-জনতা, আমাদের সেনাবাহিনী সম্মিলিতভাবে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি ও উন্নয়নে কাজ করবে এটাই কাঙ্ক্ষিত, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে সেই দৃশ্য আমরা এর মধ্যে দেখেছি।
সব অংশকে জুলাইয়ের চেতনায় নতুন দেশ গঠনে এগিয়ে আসতে হবে, নতুন চেতনায় খাপ খাওয়ানোর জন্য নিজেদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে হবে। তবে পাহাড়ে সবসময় অশান্তি বিরাজ করুক- দেশে ও দেশের বাইরের এমন স্বার্থন্বেষী মহলের অভাব নেই, এবং তাদের শক্তি এবং ষড়যন্ত্রকে দুর্বল ভাবারও কোনো কারণ নেই। দেরিতে হলেও পাহাড়ে তিনজন উপদেষ্টা ছুটে গেছেন, তারা পাহাড়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ গঠনে যে দৃঢ় অবস্থানের কথা ঘোষণা করেছেন, তাতে আমরা ভরসা রাখতে পারি। আমরা চাই, সারা দেশের মতো পাহাড়ে গণান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হোক, পাহাড়ে রক্তক্ষরণ বন্ধ বন্ধ হোক।
লেখক: কলামস্টি ও সাংবাদিক