জেলে চিকিৎসা সেবা না দেওয়ায় ও হিজাব নিয়ে কড়া নিয়মের বিরুদ্ধে ইরানের জেলে অনশন শুরু করেছেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী নার্গিস মোহাম্মদী। বিবিসির বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, সোমবার (৬ নভেম্বর) থেকে তিনি এ অনশন শুরু করেন।
এক বিবৃতিতে মানবাধিকার বিষয়ক সংবাদ সংস্থার বক্তব্যে বলা হয়, “নার্গিস আজ থেকে দুটি বিষয়ের জন্য অনশন শুরু করেছেন। ইসলামিক রিপাবলিকের অসুস্থদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে অবহেলা ও দেরী করার নীতি, যার কারণে তাদের স্বাস্থ্য ও জীবনের ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে এবং হিজাব না পরলে মৃত্যুদণ্ড বা জেলের বিরুদ্ধে তার এ অবস্থান।”
নার্গিসের পরিবার জানিয়েছে, নার্গিস ফুসফুসে চাপ ও হার্টে ব্লকেজের সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু নার্গিস হিজাব পরতে রাজি না হওয়ায় ইরানের জেল কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে রাজি নয়। নার্গিস শুধু পানি, চিনি ও লবণ খাচ্ছিলেন, সব ধরণের ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
এদিকে নরওয়ে নোবেল কমিটি সোমবার (৬ নভেম্বর) ইরান কর্তৃপক্ষের কাছে তাকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার দাবি জানায়। কমিটি জানায়, নারীদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হলে হিজাব পরতে হবে, এটি সম্পূর্ণ অমানবিক ও নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য।
১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামিক বিপ্লবের পর থেকে ঘরের বাইরে নারীদের মাথা ঢেকে রাখার নিয়ম চালু হয়।
ইরানে নারীদের অধিকার নিয়ে লড়াইয়ের জন্য তিনি এ বছরের শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পান।
নার্গিস ইসলামিক রিপাবলিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রোপাগান্ডা ছড়ানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১২ বছর ধরে জেলে আছেন। তিনি এ পর্যন্ত ১৩ বার গ্রেপ্তার হয়েছেন, ৫ বার দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ৩১ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হন এবং ১৫৪ বার নিগ্রহের শিকার হন বলে জানিয়েছে নোবেল পুরষ্কারের ওয়েবসাইট।
[67284]