ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিশ্বনেতাদের দ্বিমুখী নীতি বন্ধ হোক

আফরিদা ইফরাত প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৩, ০৯:৫৬ এএম

বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আইন, নীতিমালা এমনকি বহুপাক্ষিক সংস্থা গড়ে উঠেছে। কিন্তু তা অর্জন করা যায়নি। কারণ শান্তি ও সংঘর্ষ নিয়ে এখনো একাডেমিয়ায় অধ্যয়ন হয়। একাডেমিয়ায় গবেষণার মোটা মোটা গবেষণাপত্রে মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে আখেরে বাস্তবিকতার লাভ কী হয়? একাডেমিয়া স্তুতি অর্জন করে। কিছু হাইপোথিসিস দাঁড় করায়। আমরা ফিরে তাকাই ইতিহাসে। কাকে বলে ইতিহাস? মানুষের অতীতের হারিয়ে যাওয়া পাজলের খণ্ড ইতিহাস। তবে এই পাজল মানুষের হাতে নিয়ন্ত্রিত। প্রথমেই যেটি বলছিলাম, আন্তর্জাতিক আইন, নীতিমালার অদৃশ্য সুতোবন্ধন বাস্তবিক জীবনে কোনো কাজে আসে না। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষের যে বাস্তবতা, সেই প্রেক্ষাপটে আসার আগে হতাশার মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রতিষ্ঠানকে কটূক্তি করতেই এমন বিবরণের আশ্রয় নেওয়া।

আকাশের নিচে পৃথিবীটাকে আমরা যেমন ভাবি, আসলে পৃথিবীর উপরিভাগ অত নীল নয়। কারণ, প্রখর সূর্যালোকের আদরে আকাশ থেকে টানা কয়েক দিন বোমাবর্ষণ আর সাদা ফসফরাসে মাংস-হাড় গলে অসংখ্য ফিলিস্তিনির মৃত্যুর খবর আমরা সংবাদমাধ্যমে দেখছি। পৃথিবী এখন দুটো ভাগে বিভক্ত। একটি অংশ, ইসরায়েলের ওপর হামাসের আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাদের সমর্থন জানাচ্ছে। আরেকটি অংশ সত্যিকার অর্থে মানবিক। তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে। গাজাকে কয়েক শতাব্দী আগের এবং মধ্যযুগীয় সময়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গাজা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। জল, স্থল ও আকাশপথে গাজায় হামলার জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছেন ইসরায়েলি সেনারা। সরকারি নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা। ১১ অক্টোবরেই আমরা জানতে পেরেছিলাম, উপত্যকার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। জ্বালানি-সংকট ধ্বংস উপত্যকার নীরবতা এবং শীতলতায় কতটা অস্বস্তি জাগিয়ে তোলে জানা দরকার।

কলিন ডিকির ঘোস্টল্যান্ড নামে একটি মজার বই রয়েছে। সেখানে আমেরিকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ভুতুড়ে বাড়ি সম্পর্কে মজার একটি কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘদিন মানুষ বাস করার পর যখন পরিত্যক্ত হয় বাড়িটি তখনো সেখানে ফেলে যাওয়া মানুষের পদছাপ, যাপিত জীবনের চিহ্ন লেগে থাকে। বহুদিন পর অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘরগুলোতে কেউ যখন প্রবেশ করে তখন তার মনে ওই শিহরণই জাগে। কারণ, সে ওই বাসিন্দার জীবন সম্পর্কে কিছুই জানে না। এত দিন খালি থাকা এই ভুতুড়ে বাড়িতে অশরীরীর উপস্থিতি মূলত ফেলে যাওয়া মানুষের যাপিত জীবনের চিহ্ন। গাজার ক্ষেত্রেও অনাগত ভবিষ্যতে তেমনটিই দেখা যাবে। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাবে, মৌলিক সুযোগ-সুবিধা ও বেঁচে থাকার জন্য নিরাপদ আশ্রয়, চিকিৎসা, খাদ্যের অভাবে যন্ত্রণার অসংখ্য চিহ্ন। এই চিহ্নগুলো ছবির আকারে পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলে আসবে। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলতে থাকবে। কারণ, পৃথিবী এখন দ্বিধাবিভক্ত। কে কার পক্ষে? ইসরায়েল কি সঠিক? নাকি ফিলিস্তিনিরা অসহায় অবস্থায় রয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর আমাদের সবার পর্যবেক্ষণলব্ধ জ্ঞানই বলে দিচ্ছে, ফিলিস্তিনের ওপর অন্যায় করা হচ্ছে।

১২ অক্টোবর ইসরায়েলি সরকারের নির্দেশনা আসে। গাজা উপত্যকার উত্তরে বসবাসরত ১ দশমিক ১ মিলিয়ন ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণের দিকে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়। গাজা উপত্যকার ভেতরেই ফিলিস্তিনিদের একমাত্র শহর অবস্থিত। ইসরায়েলি নির্দেশনা ঘোষণার সময় আশ্বাস দেওয়া হয়, ২৪ ঘণ্টার ভেতর তারা নিরাপদেই স্থানান্তর করতে পারবে। সড়কপথে তাদের কোনো বিপদের মুখোমুখি হতে হবে না এমন আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা দ্বিধায় ভুগছিল। তারা সবাই জানে, একবার এই উপত্যকা ত্যাগ করা মানে আর কোনো দিন এখানে ফিরে আসা যাবে না। হারাতে হবে নিজ বাসভূম। তার চেয়েও বড় প্রশ্ন আমাদের সামনে, বিশ্ব সম্প্রদায় এ বিষয়ে কী বলছে? কিছুই না। যুক্তরাষ্ট্র, বার্লিন, প্যারিস, লন্ডনসহ পশ্চিমা বিশ্বের শান্তি ও মানবাধিকারের পক্ষশক্তি ইসরায়েলের পক্ষাবলম্বন করছে। মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্র সৌদি আরবসহ আরব উপসাগরের রাষ্ট্রগুলোর নীরবতা আমাদের স্তম্ভিত না করে পারে না। ভূরাজনৈতিক স্বার্থ এবং মাল্টিপোলার এই বিশ্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রীতির মূল্য নিয়ে আমাদের প্রশ্ন থেকে যায়। পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো কেন এত উন্নত অস্ত্র তৈরি করে? করে কারণ তারা জানে যে কোনো সময় সংঘাতময় পরিস্থিতি হতে পারে। হিরোশিমা-নাগাসাকির মতোই হতে পারে যেকোনো সময়ে। তাই তারা আন্তর্জাতিক সুহৃদ সম্পর্কের সঙ্গে অস্ত্রের মহড়া সাজায়। যদিও ফিলিস্তিনের বিষয়টি আলাদা।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছিল, ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছিল সালাহ আল দিন রোডটি সাময়িক সময়ের জন্য নিরাপদ। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভয় বার্তা পাওয়ার পর অসংখ্য মানুষ এই সড়কে ভিড় করে। অক্টোবর ১৩ তারিখেই অন্তত ৭০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা। স্থলপথে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের দাবি, প্যালেস্টিনিয়ানদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা হামাসদের নির্মূল করতেই এই অভিযান। কিন্তু এমনটি একটি বাহানা মাত্র। আসলে তারা করছে গণহত্যা। এথনিক ক্লিনজিংয়ের ভালো কোনো বাংলা এখনও হয়নি। পশ্চিমা মিডিয়া একে বলছে এথনিং ক্লিনজিং। কিন্তু এটি কেন গণহত্যা নয়? জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠিত কিছু বিদ্যালয়ে মানুষ আতঙ্কে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানেও তাদের বোমা হামলা করতে হয়েছে। শিশু, নারী ও বৃদ্ধ অবশ্যই হামাসের সদস্য নয়। ইসরায়েলের নীতিনির্ধারকরাও ভালোমতোই জানে যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই অঞ্চল থেকে সরে যাওয়া সম্ভব নয়। তারা আবছাভাবে একটি গণহত্যা চালাচ্ছে। চিরতরে নির্মূল করে দিতে চাচ্ছে।

নিকট অতীতে, একটি লেখায় আমি বলেছিলাম, ইসরায়েল জাদুঘর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে ইতিহাসকে রূপান্তরিত করছে। সেই রূপান্তরের মাধ্যমে ইতিহাসের পাজল নিজের মতো বানিয়ে এনে জোড়া লাগাচ্ছে। আর এবার তারা পুরোপুরিই মুছে দিতে চাচ্ছে একটি জাতিকে। ১৯৪৮ সালে নাকবার নারকীয় ঘটনার কথা মনে পড়ে। ওই সময় প্রায় সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছিল। গাজায় অবস্থানরত ফিলিস্তিনিদের মনের অনুভূতি সহজেই বোঝা যায়। ১৯৪৮ সালে তাদের পূর্বপুরুষরা বাস্তুচ্যুত হয়েছিল এবং এবার তারা একই ঘটনার শিকার। গাজার বাসিন্দাদের জন্য সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে খাবার। মুদিদোকানগুলোর বেশির ভাগ বন্ধ। যে দু-একটি দোকান খোলা রয়েছে, সেখানেও মানুষের প্রচণ্ড ভিড়। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে খাবার না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। এসব মানুষের দিন কাটছে অর্ধাহারে-অনাহারে। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে, পানি শোধনাগার ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা অচল হওয়ার পর থেকে গাজার বাসিন্দারা সুপেয় পানির তীব্র সংকটে পড়েছেন। কুয়া থেকে দূষিত পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। এতে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা বলেছে, ফিলিস্তিনিদের স্থান ত্যাগের নির্দেশ দিলেও আন্তর্জাতিক আইনের ব্যত্যয় ঘটানোর কোনো সুযোগ তাদের নেই। তারা ইসরায়েলের নেতৃস্থানীয়দের এই নির্দেশনা পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধ করেছে। ইসরায়েল সরকার অবশ্য একটি জাতিকে সমূলে বিনাশ করার পরিকল্পনা রাখঢাক করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ইসরায়েলের একাধিক রাজনীতিক এবং মন্ত্রী এক সপ্তাহ ধরে গাজাকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের ‘মানুষরূপী জন্তু’ বলে অভিহিত করেছেন। আক্রমণ করা হয়েছে গাজার দক্ষিণ উপত্যকায় পলায়নরত কনভয়ে। তাহলে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েই বা কেন এমন আচরণ। চোখে ধুলো দেয়া মাত্র।

ইসরায়েলের এই বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা কী? তেমন কিছু না। যুক্তরাষ্ট্র মিসরের ওপর চাপ প্রয়োগ করে চলেছে যেন গাজা ও সিনাই উপত্যকার মধ্যবর্তী রাফাহ সীমান্ত দিয়ে মানবিক করিডর গড়ে তোলে। ধ্বংসাত্মক এই সময়ে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব সবার আগে বর্তায় এবং তারা এমন মানবিক দায়িত্ব পালন করছে। পশ্চিমা মিডিয়ার বিদেশি প্রতিনিধিরা নিয়মিত সংবাদ পাঠাচ্ছেন। তারা ইসরায়েলকে দেখাচ্ছে সঠিক পথে পরিচালিত রাষ্ট্র হিসেবে। বিষয়টা অনেকটা এডওয়ার্ড সাঈদের ওরিয়েন্টালিজমের তুলনার মতো। প্যালেস্টিনিয়ানরা এক আদার। তারা অনুপ্রবেশকারী। অথচ ইতিহাস তা বলে না। প্যালেস্টিনিয়ানদের পরিচয় মুছে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের মানবাধিকার কেড়ে নেওয়াও সম্ভব। কোনো আন্তর্জাতিক এনজিও বা সেবা প্রতিষ্ঠান কীভাবে তাদের রিলিফ দেবে? একটি উন্মুক্ত কারাগার গাজা উপত্যকা। কাঁটাতারের বেড়ার বাইরে ইসরায়েলি ট্যাংক একের পর এক সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে। গাজা শহরটি ধ্বংসস্তূপে। সেখানকার হাসপাতালেও আঘাত করা হয়েছে। অনেক আহত মানুষ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। পরিস্থিতি এতটাই অমানবিক যে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা না পালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, মানুষের এই আর্তি অসহ্যকর। চিকিৎসকের সেই দায় কোনো সুবিধা ছাড়াই তাদের পালন করতে হচ্ছে। পশ্চিমা বিশ্বের চোখে এসব কিছুই পড়ছে না। গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফা হাসপাতাল। নির্বিচার হামলায় নিহত এবং গুরুতর জখম ও আহত ব্যক্তিদের চাপে গাজার হাসপাতালগুলোয় তিল ধারণের জায়গা নেই। তবে বেশির ভাগ রোগীকে সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। এদিকে ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী না আসায় হাসপাতালগুলোয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। সার্জারি করা তো দূরে থাক মুমূর্ষু রোগীদের কৃত্রিম অক্সিজেন দেওয়ার সুযোগটিও নেই।

গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ধ্বজাধারীরা প্যালেস্টিনিয়ানদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা নিয়ে চিন্তিত না। তাদের কথা, তোমরা আরও সংকীর্ণ দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় চলে যাও।

উদ্বেগের বিষয় হলো, কেউ যদি গাজা উপত্যকা ছেড়ে চলে যায় তাহলে তাদের আজীবনের জন্যই এই ভূমিত্যাগ করতে হবে। এটিকে অযৌক্তিক ভয় বলা চলে না। জাতিসংঘ এ বিষয়ে তাদের উদ্বেগ জানিয়েছে। কিন্তু উদ্বেগ জানানোর মাধ্যমে কোনো দিন সমস্যার সমাধান হয় না। আমরা ভালোমতোই জানি, জো বাইডেন সমর্থিত ইসরায়েল এই গণহত্যার দায় থেকে পার পেয়ে যাবে। কয়েক দিন আগেও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ও বর্ণবাদী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে জো বাইডেন হয়তো মধ্যপ্রাচ্যের নায়ক বানিয়ে তুলেছেন। কিন্তু তিনি তার রাষ্ট্রের প্রতিনিধি হলেও সেখানকার নাগরিকদের মনের প্রতিনিধিত্ব করেন না। মার্কিন ও পশ্চিমা অনেক দেশেই মানুষরা ফিলিস্তিনের পক্ষে। এই স্বর সারা বিশ্বের বিভাজনের মধ্যে ফিলিস্তিনের কাছে খাদ্য, চিকিৎসা, বস্ত্র ও আতঙ্ক নিবারণের ব্যবস্থা দেওয়ার চাপ তৈরি যেন করতে পারে। কারণ বিশ্ব দুভাগে বিভক্ত। এই বিভক্তির মধ্যেও নির্ধারণ করতে হবে কিভাবে ফিলিস্তিনিদের সংকট থেকে মুক্তি দেওয়া যায়। আমরা এখন এই সংকটের দিকে তাকিয়ে আছি। দেখছি চোখের সামনে গণহত্যা। আধুনিক এক নাকবা। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা টিকে থাকবে। তারা টিকে ছিল। বিশ্ব সম্প্রদায়ের দ্বিমুখী আচরণের বিষয়ে এখন থেকেই সোচ্চার হওয়া জরুরি।

লেখক : সংবাদকর্মী