বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে শিক্ষকরা

সৈয়দা বদরুন নেসা প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৪, ০১:৫৪ পিএম

শিক্ষকতা শুধু পেশা নয়, একটি দায়িত্বশীল সামাজিক ভূমিকা। শিক্ষকরা হচ্ছেন সেই কারিগর, যারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তোলেন, সঠিক দিকনির্দেশনা দেন। তবে বর্তমানে শিক্ষকদের সম্মান ও মর্যাদা নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে। দলীয় প্রভাব, পক্ষপাতমূলক নিয়োগ আর শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাবে গোটা শিক্ষাব্যবস্থাই এখন হুমকির মুখে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য শিক্ষকদের ভূমিকা ও মর্যাদার পুনঃপ্রতিষ্ঠা জরুরি। মেধাবী ও দক্ষ শিক্ষকদের নিয়োগ এবং তাদের প্রশিক্ষণ বাড়ানো সময়ের দাবি।

একজন শিক্ষক শুধু জ্ঞানই প্রদান করেন না, তিনি শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সততার শিক্ষা দেন। তবে শিক্ষকেরা যখন রাজনৈতিক প্রভাবে আবদ্ধ থাকেন, তখন তাদের শিক্ষাদানের গুণগত মান হ্রাস পায়। যে কারণে শিক্ষাব্যবস্থাকে এমন একটি উচ্চতায় নিয়ে যেতে হবে, যেখানে শিক্ষকরা অরাজনৈতিক ও নিরপেক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সঠিক দিশা দেখাতে পারেন। তাদের কাজ হওয়া উচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে মুক্তচিন্তা ও মানবিক মূল্যবোধ গড়ে তোলা। কোনো ধরনের লেজুরবৃত্তির দলীয় চিন্তা বা পক্ষপাতমূলক মনোভাব নয়।

রাজনৈতিক অন্ধ পক্ষপাতিত্ব শিক্ষার্থীদের নৈতিক মূল্যবোধে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতি আনুগত্য শিক্ষার পরিবেশকে কলুষিত করে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে পক্ষপাতমূলক মনোভাব তৈরি করে। এই ধরনের অবস্থান শিক্ষার্থীদের মুক্তচিন্তা, সৃজনশীলতা ও নৈতিক মূল্যবোধকে বাধাগ্রস্ত করে। রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তিতে বিভাজন তৈরি হলে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য বাধাগ্রস্ত হয়। যা শুধু শিক্ষার মানকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে না, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে সহিংসতা, দুর্নীতি এবং অব্যবস্থাপনারও সৃষ্টি করে।

মূলত, শিক্ষা কোনো একক ব্যক্তি বা সমাজের জন্য নয়, গোটা জাতির সম্পদ। উন্নত জাতি গঠনে শিক্ষার সঙ্গে শিক্ষকের ভূমিকাও অপরিসীম। এটাই সত্য যে, কোনো জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করে মূলত শিক্ষকদের ওপর। যে কারণে মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রাধান্য দিতে হবে। শিক্ষক নিয়োগে একমাত্র মেধা ও একাডেমিক সাফল্যকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে। যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ না দিলে শিক্ষার মান যেমন হ্রাস পায়, তেমনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মও সঠিক দিকনির্দেশনা থেকে বঞ্চিত হয়। কারণ, একমাত্র যোগ্য শিক্ষকরাই জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন। তাই, জাতির শিক্ষার মান নির্ভর করে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ার ওপর।

আবার শুধু যোগ্য শিক্ষকের নিয়োগের মধ্যেই সব দায় দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না। মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষকদের প্রতিনিয়ত আরও দক্ষ, বৈশ্বিকভাবে উপযোগী করে তুলতে হয়। প্রায়োগিক শিক্ষা ও একাডেমিক গবেষণায় যারা বিশেষ অবদান রাখছেন তাদের যথাযথ মর্যাদা, স্বীকৃতি ও পদোন্নতি দিতে হবে। দক্ষ মেধাবী শিক্ষকদের মডেল হিসেবে উপস্থাপন করে অন্যদের উৎসাহিত করতে হবে।

যে কোনো দেশ বা জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করে সেই জাতির শিক্ষাব্যবস্থার ওপর। আর শিক্ষার উন্নয়নে শুধু শিক্ষানীতি প্রণয়নই যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন গবেষণা খাতে বড় বিনিয়োগ, শিক্ষকদের যথাযোগ্য মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখা, সঠিক নিয়োগ প্রক্রিয়া ও প্রতিনিয়ত উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় এসবের ঘাটতি প্রকট। যা সমাধান না হলে জাতীয় উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবেই। আর শিক্ষাখাতে বরাদ্দ নয়, বিনিয়োগ বাড়ানো এখন সময়ের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

যদিও আমাদের শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় একেবারেই তলানীতে। বর্তমানে দেশে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ২ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় হতাশাজনক। এমনকি ২০২২ সালে দেউলিয়া ঘোষিত শ্রীলঙ্কাও শিক্ষাখাতে জিডিপির ৩-৪ শতাংশ বিনিয়োগ করে থাকে। ফলে দেশটিতে শিক্ষার মান ও শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা অনেক বেশি। সে বিচারে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে জিডিপির অন্তত ৫ শতাংশ বিনিয়োগ রাখতে হবে।

নতুন অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে একটা মডেল রেখে যেতে পারে। যেখানে শিক্ষায় বিনিয়োগ শুধু চোখ ধাঁধানো অবকাঠামো নির্মাণেই নয়, শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষণ, গবেষণা, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য ব্যয় হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ফিনল্যান্ডের মতো দেশগুলো শিক্ষায় বিপুল বিনিয়োগ করে তাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে বিশ্বমানে নিয়ে গেছে। তাই, ফিনল্যান্ডের শিক্ষার মডেল অনুসরণ করতে হলে শুধু সিলেবাসেই পরিবর্তন নয়, শিক্ষার পরিবেশেও পরিবর্তন আনতে হবে।

বলা ভালো, ফিনল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থা বিশ্বে অন্যতম সেরা হিসেবে বিবেচিত হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে, তাদের সব পর্যায়ে বিনামূল্যে শিক্ষা দেওয়া হয়। প্রাথমিক স্তর থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা লাভ করে শিক্ষার্থীরা। এমনকি পাঠ্যবই, খাবারসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচও বহন করে রাষ্ট্র। দেশটিতে শিক্ষকদের উচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়। তাদের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণও বাধ্যতামূলক।

তাছাড়া ফিনল্যান্ডে শিক্ষাদান পদ্ধতি গঠনমূলক ও সমস্যার সমাধান ভিত্তিক। যা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও সমালোচনামূলক চিন্তাশক্তি বাড়ায়। শিশুদের ওপর পরীক্ষা বা গ্রেডের কোনো চাপ দেওয়া হয় না। বিপরীতে শেখার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা বিকাশের দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। বলা ভালো যে, ফিনল্যান্ডে শুধু সেরা শিক্ষার্থীরাই শিক্ষক হওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকে। যে কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই উন্নত তাদের শিক্ষাব্যবস্থা।

ইউনেস্কোর এক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব দেশ শিক্ষাব্যবস্থায় বেশি বিনিয়োগ করে, সেসব দেশে শিক্ষার মান অনেক উন্নত হয়। এক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের শিক্ষাব্যবস্থাকে উল্লেখ করা যেতে পারে, যারা শিক্ষাখাতে বিপুল বিনিয়োগ করে থাকে। ফলাফল হিসেবে এসব দেশের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক স্তরে ভালো করছে। প্রোগ্রাম ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট এসেসমেন্টের (পিআইএসএ) প্রতিবেদন অনুযায়ী, ফিনল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোর ছাত্রছাত্রীরা নিয়মিতভাবে উচ্চ স্থান অর্জন করে থাকে। কারণ, তাদের শিক্ষাব্যবস্থায় আর্থিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং শিক্ষার মান উন্নয়নের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা হয়।

অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন এন্ড ডেভেলপমেন্টে (ওইসিডি) এক গবেষণায় উঠে এসেছে, শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষক প্রশিক্ষণ, বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আর্থিক নিরাপত্তা শিক্ষাব্যবস্থার মানকে সরাসরি প্রভাবিত করে, কারণ এটি শিক্ষকদের মানোন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের সুবিধা প্রদান এবং শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরিতে সহায়তা করে।

ফিনল্যান্ড, কোরিয়া কিংবা জাপানের মডেল অনুসরণ করতে হলে শিক্ষা বিষয়ে আমাদের প্রচলিত সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে বৈষম্যহীন, আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর এবং দক্ষ জনশক্তি সম্পন্ন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমেই কাজটা করা যাবে। মনে রাখতে হবে, একটি শক্তিশালী ও প্রগতিশীল শিক্ষাব্যবস্থা শুধু অর্থনৈতিক অগ্রগতি নয়, জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক উন্নয়নকেও প্রভাবিত করে। যেখানে শিক্ষকরা শুধু জ্ঞান বিতরণকারী নন, জাতি গঠনের অন্যতম কারিগর।

তবে জাতি গঠনের কারিগরদের মান উন্নয়নে এখনও আমরা অনেক পিছিয়ে। শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে তাদের মধ্যে হীনমন্যতা কাজ করবে। যা তাদের পেশাগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ফলে উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাদের অবদান রাখার ক্ষেত্রে কম সুযোগ তৈরি হবে। শিক্ষকদের পেশাগত উন্নয়ন তাই তাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের আকাঙ্ক্ষা পূরণের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল।

ব্যক্তিগত জীবনে আমি যেমন একজন শিক্ষক, তেমনি শিক্ষক পরিবারের সন্তানও। খুব কাছ থেকে শিক্ষকদের অপরিসীম দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধের চিত্র দেখার সুযোগ হয়েছে। আমার বাবা শিক্ষাবিদ প্রফেসর মো. যোবদুল হক তাঁর জীবনের পুরোটাই ব্যয় করেছেন শিক্ষার্থীদের যোগ্য ও উন্নত দৃষ্টিভঙ্গির নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে। সেজন্য তিনি তার কর্মক্ষেত্রকে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও শিক্ষার্থীবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বেরিয়ে বহু শিক্ষার্থী আজ বৈশ্বিকভাবে অবদান রেখে যাচ্ছেন। তাদের মতো শিক্ষকরাই মূলত জাতির কারিগর হয়ে ওঠেন।

শিক্ষার কারিগরদের হাত ধরে গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে আমূল পাল্টাতে হলে, সবার আগে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে হবে। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বড় ধরনের বৈষম্য বিদ্যমান। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান, সুযোগ-সুবিধা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশ সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ভিন্ন। সর্বস্তরের শিক্ষায় জাতীয়করণের মাধ্যমে এই বৈষম্য কমিয়ে আনা সম্ভব। যা শিক্ষার্থী আর শিক্ষকদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবে।

শিক্ষকদের জাতিগঠনের কারিগর হিসেবে বিবেচনা করতে হলে তাদের নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা করতে হবে। উন্নত দেশে শিক্ষকদের অবসর পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রকল্পে তাদের সম্পৃক্ত করা হয়। শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা ও মেধা কাজে লাগানো হয়। আমাদের দেশেও অবসরের পরে নিজ নিজ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকদের পরামর্শক হিসেবে রাখা যায়। যাতে তাদের অর্জিত অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হতে পারে সেসব প্রতিষ্ঠান।

শুধু তাই নয়, শিক্ষানীতি প্রণয়নে কর্মরত শিক্ষকদের পাশাপাশি অবসরে যাওয়া শিক্ষকদেরও পরামর্শ ও মতামত নিতে হবে। শ্রেণীকক্ষে পাঠদানে শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ বাড়াতে শিক্ষাদান পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। উন্নত বিশ্বে শিক্ষাদানের পদ্ধতি অনেকটা ইন্টার‍্যাকটিভ এবং বাস্তব জীবনের সমস্যার সমাধানে মনোযোগী। যেমন- ফিনল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানের মতো দেশগুলোতে শিক্ষাদানে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ শ্রেণীকক্ষ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আমাদের শ্রেণীকক্ষকে আধুনিক হিসেবে গড়ে তোলার আগে শিক্ষকের আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গির হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে গবেষণামুখী হিসেবে ঢেলে সাজানো গেলেই কেবল দক্ষ, আধুনিক, প্রযুক্তিসমৃদ্ধ প্রজন্ম গড়ে তোলা সম্ভব। তাতে গড়ে উঠবে শক্তিশালী জাতি। যেখানে শিক্ষকরা হবে মূল কারিগর। তাদের দক্ষতা আর দায়িত্ববোধের মধ্য দিয়েই অংশগ্রহণমূলক, সৃজনশীল, বৈষম্যহীন শিক্ষা নিশ্চিত হতে পারে। যার মধ্য দিয়ে বিনির্মিত হবে উন্নত দৃষ্টিভঙ্গির, সমৃদ্ধশালী, গণতান্ত্রিক বৈষম্যহীন সমাজ।

লেখক: গবেষক ও কৃষিবিদ, সহকারী অধ্যাপক, বরেন্দ্র কলেজ, রাজশাহী।