পরিবহন ধর্মঘট

স্বস্তি ফিরবে কবে—প্রশ্ন সাধারণ মানুষের

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২১, ১২:১৪ পিএম

কেরোসিন তেল ও ডিজেলের দাম বৃদ্ধি কারণে সারাদেশে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। এর আওতায় বন্ধ ৫ নভেম্বর (শুক্রবার) থেকে বন্ধ রয়েছে সকল পন্য পরিবহন ও গণপরিবহন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। ডিজেলের বাড়তি দাম প্রত্যাহার কিংবা ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে আজ রোববার টানা তৃতীয় দিন অব্যাহত রয়েছে সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের ধর্মঘট।

শুক্র ও শনিবারে সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় ভোগান্তি কিছুটা কম ছিল। কিন্তু রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে রাস্তায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন অফিসগামী যাত্রীরা।

বেশিরভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শিল্পকারখানা খোলা থাকায় কর্মজীবীদের ভোগান্তিও বেড়েছে কয়েকগুণ। এর সুযোগ নিয়েছে রিকশা ও অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহন।

রাজধানীর প্রতিটি বাস স্টপেজে দেখা গেছে গাড়ির জন্য অপেক্ষমান যাত্রীদের ভিড়। গাবতলী, মিরপুর ও মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

সাদায়েত সায়েম উত্তরায় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরী করেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে অফিস করেন উত্তরায়। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সকাল ৭টায় বের হয়েছেন অফিসে যাওয়ার জন্য। মোহাম্মদপুর থেকে রিক্সায় করে দেড় ‘শ টাকা দিয়ে ফার্মগেট এসে দাঁড়িয়ে আছেন। কোনো গাড়ী না থাকায় অফিসে পৌঁছাতে পারবে কি-না, তাও অনিশ্চিত প্রায়।

আফসানা আমির মতিঝিলে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরী করেন। গণপরিবহন না থাকায় সকাল ৮ টা থেকে ফার্মগেট ফুটওভার ব্রীজের নিচে বিআরটিসি বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, “বেশ কয়েকটি রিকশা দেখেছিলাম ফার্মগেট থেকে মতিঝিলে যাওয়ার জন্য। কিন্তু ভাড়া অনেক বেশি চাইছে। এই দুর্ভোগে সিএনজি ভাড়াও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কিভাবে অফিসে যাবো তাও অনিশ্চিত।”

আরেক অফিসগামী যাত্রী রহমতুল্লাহ বলেন, “আমি বনানী গিয়ে অফিস করি। এখন ধর্মঘট থাকায় রাস্তায় কোন গণপরিবহন নেই। রিকশায় মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া চাইছে। উবার পাঠাওয়ের ভাড়াও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছে। আবার এদিকে আজকে অফিস আদালত খোলার সপ্তাহের প্রথম দিন। রাস্তায় কোনো পরিবহন না থাকায় অনেকে ৪-৫ মাইল পথ হেঁটেই অফিসে রওয়ানা দিয়েছেন। এই ভোগান্তির শেষ কোথায় আমরা তাও জানি না।”

এদিকে তেলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বাস ভাড়া বাড়ানো নিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে আজ বৈঠকে বসছেন বাস মালিকরা। জানা গেছে, জ্বালানি তেলের বাড়তি দামসহ ১৯টি খাতের ব্যয় ধরেই ভাড়া নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া চলছে। প্রতিটি ধাপেই বাড়তি দর যুক্ত করে নতুন ভাড়া নির্ধারণের দাবি করেছেন মালিকরা।