শীতে করোনা নিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২১, ০৮:৩৪ পিএম

শীতের আগমনে দেশে আবারো করোনাভাইরাস যাতে মাথাচারা দিতে না পারে সেজন্য সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার এবং মাস্ক ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণভাণ্ডারে কম্বল গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেখা যাচ্ছে যখনই আবার শীতকাল আসছে বিশ্বের সব দেশেই কিন্তু আবার করোনাভাইরাস দেখা দিচ্ছে। ইউএসএ, ইংল্যান্ড বা ইউরোপের দেশগুলোতে এর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। কাজেই বাংলাদেশের সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য আমি অনুরোধ করছি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “শীতকাল আসলেই একটু ঠান্ডা লাগে, সর্দি, কাশি হয়। আর এটা হলেই এই করোনাভাইরাসটা আমাদের সাইনাসে গিয়ে বাসা বানাতে পারে। কাজেই সেইদিকে সবাইকে একটু সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে মাস্ক পড়তে হবে এবং খাদ্য তালিকায় ‘ভিটামিন সি’ যাতে একটু বেশি থাকে এবং যাতে ঠান্ডা না লাগে সেদিকে নজর দিতে হবে।”

এ সময় মৌসুমি ফলমূল, শাকসবজী এবং তরিতরকারি বেশি করে খাবার পরামর্শও দেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকার প্রধান বলেন, “টিকা দেয়ার পরে কারো করোনা হলে তার হয়তো ক্ষতির পরিমাণটা বেশি হবে না, তবে, তার থেকে ছড়াতে পারে, তাই মাস্কটা ব্যবহার করতেই হবে।”

এ ব্যাপারে প্রচার-প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, “সবাইকে সতর্ক করার বিষয়ে প্রচার-প্রচারণাটা দরকার। একটু সতর্ক হলে এই করোনাভাইরাস আর বাংলাদেশের মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।”

এ সময় ব্যাংক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সমগ্র দেশের জনগণের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “করোনাভাইরাসকে আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। টিকা সংগ্রহ করে সারা দেশে টিকদান অব্যাহত রয়েছে এবং আজকেও সারাদেশে ৮০ লাখ টিকাদানের কার্যক্রম চলছে। ছাত্র সমাজ এবং স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার প্রস্তুতি তার সরকারের রয়েছে। কেউ বাদ যাবে না, নীতিমালা অনুযায়ী যারা টিকা পাবার যোগ্য বাংলাদেশের সেই সব মানুষই টিকা পাবে এবং আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় নাগাদ আমরা সকল মানুষকেই টিকা দিতে সক্ষম হবো।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “করোনাকালে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে আসলেও তার সরকার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশে কোনকিছু যাতে স্থবির না হয় এবং সচল থাকে। সেদিক থেকে আমি মনে করি বাংলাদেশ যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে।”

এছাড়া মানুষের দুঃসময়ে সবসময় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ব্যাংক সব সময় এগিয়ে আসেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে এবারেও শীতার্ত জনগণের সহায়তায় এগিয়ে আসায় ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোটাই বড় কথা।”

সরকার প্রধান আরো বলেন, “তার সরকার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পরেই বিভিন্ন ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি খাতে উন্মুক্ত করে দেন, যাতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতও আরো শক্তিশালী হয় এবং তারা দেশের মানুষের সেবা করতে পারে এবং দেশের মানুষের আরো কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়।”

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ৩৭টি বেসরকারি ব্যাংকের কাছ থেকে এই কম্বল গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়া মুখ্য সচিব প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলের জন্য ১০ লাখ টাকার চেকও গ্রহণ করেন।

এ সময় বিএবি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বিভিন্ন ব্যাংক চেয়ারম্যানদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। 

সূত্র: বাসস।