বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন খাতে ২০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক। করোনা মহামারিতে দেশের অর্থনীতিতে ঝেঁকে বসা স্থবিরতা কাটিয়ে উঠতে এই সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্বব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি মার্সি টেম্বন একটি চুক্তিতে সই করেন।
বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিস সূত্র জানায়, তাদের (বিশ্বব্যাংক) এই ঋণ পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য। ঋণের সুদের হার ১ দশমিক ২৪ শতাংশ। এর সার্ভিস চার্জ শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং অনুত্তোলিত অর্থের ওপর সর্বোচ্চ কমিটমেন্ট চার্জ শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ।
এছাড়া রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সডমেন্ট অব ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট’ প্রকল্পের আওতায় ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।
এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের আওতাধীন পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
আরো জানা যায়, কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত শহরাঞ্চলের নিম্নআয়ের যুব সম্প্রদায় এবং বিদেশফেরত অভিবাসী শ্রমিকদের অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আলোচ্য প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকল্পের মাধ্যমে নানা ধরনের উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শহরাঞ্চলের নিম্নআয়ের স্বল্পশিক্ষিত যুব সম্প্রদায় এবং উদ্যোক্তাদের অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসতে প্রশিক্ষণ, সফলভাবে শ্রমবাজারে প্রবেশে তথ্য এবং ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে।
এ প্রশিক্ষণের আওতায় শহরাঞ্চলের যুব সম্প্রদায়কে অনানুষ্ঠানিক শিক্ষানবিশ হিসেবে ‘অন দ্য জব ট্রেইনিং’-এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট দক্ষতা অর্জনে ব্যবসা ব্যবস্থাপনায় উদ্যোক্তা উন্নয়নে এবং ক্ষুদ্র ঋণের সুযোগ গ্রহণে সহায়তা দেওয়া হবে।
প্রকল্পের বড় অংশ অর্থাৎ ১৫ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করবে পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। বিদেশফেরত শ্রমিকদের সামাজিক অন্তর্ভুক্তিতে এবং অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা সৃষ্টি এবং বিভিন্ন সংস্থা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগ ঘটিয়ে স্থানীয় শ্রমবাজারে প্রবেশে সহায়তা করা এবং নির্দিষ্ট দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিদেশের শ্রমবাজারে পুনরায় অন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করা হবে। এছাড়া প্রকল্পটির বাকি পাঁচ কোটি ডলার ব্যয় হবে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড বাস্তবায়নে।