হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে আদালতে হাজির করা হয়নি। ফলে সম্রাটের উপস্থিতিতে চার্জশিট গ্রহণে শুনানির তারিখ পিছিয়ে গেল।
সোমবার (২৫ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে সম্রাটের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটি চার্জশিট গ্রহণের জন্য ধার্য ছিল।
কিন্তু সম্রাট অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন থাকায় তাকে আদালতে হাজির যায়নি মর্মে আদালতকে অবহিত করে কারা কর্তৃপক্ষ।
আদালত সূত্রগুলো বলছে, আগামী ১০ জানুয়ারি সম্রাটের উপস্থিতিতে চার্জশিট গ্রহণের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত বলে জানিয়েছেন দুদকের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর কারান্তরীন সম্রাটকে আদালতে হাজির করতে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (হাজতি পরোয়ানা) জারি করেন আদালত।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর ২১৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ টাকা তিনি পাচার করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
উচ্চ আদালতে জমা দেওয়া সিআইডির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্রাটসহ ১২ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান ৩১০ কোটি ৮০ লাখ ১৪ হাজার ৭৪৮ টাকা বিদেশে পাচার করেছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে তাঁদের ঢাকায় আনা হয়। এরপর সম্রাটকে নিয়ে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় সম্রাটের কার্যালয়ে ক্যাঙারুর দুটি চামড়া, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেদিন তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন। আটকের সময় মদ্যপ থাকায় সম্রাট ও আরমানকে এ কারাদণ্ড দেওয়া হয়।