ঢাকায় পৌঁছেছে সিনোফার্মের আরও ৫৫ লাখ ডোজ টিকা। বুধবার (২০ অক্টোবর) রাত ১টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় এই চীনা টিকা।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ‘চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোফার্মের আরও ৫৫ লাখ ডোজ করোনা টিকা বুধবার রাত ১টার দিকে ঢাকায় আসে। এই টিকা গ্রহণ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্মকর্তারা।’
মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সিনোফার্মের আরও ৫৫ লাখ ডোজ টিকা আসবে। এর আগে সোমবার (১৮ অক্টোবর) রাত ১১টায় চীনের সিনোফার্মের ১০ লাখ ডোজ এবং রাত ১২টায় নেদারল্যান্ডস থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার আরও ১০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসে।
৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বেক্সিমকোর মাধ্যমে কেনা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের ১০ লাখ কোভিশিল্ড টিকা ঢাকায় এসে পৌঁছায়। ভারত থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার মোট টিকা এসেছে এক কোটি তিন লাখ। এর মধ্যে ভারতের উপহারের টিকা ছিল ৩৩ লাখ। আর ভারত থেকে কেনা টিকা এসেছে ৭০ লাখ।
চলতি বছর ২৫ জানুয়ারি ভারত থেকে কেনা ৫০ লাখ টিকার প্রথম চালান আসে। ২৩ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে কেনা টিকার দ্বিতীয় চালান আসে। এরপর ভারত থেকে কেনা টিকার চালান আর আসেনি।
এদিকে ভারত বাংলাদেশকে তিন দফায় ৩৩ লাখ টিকা উপহার দেয়। ভারত প্রথম দফায় চলতি বছর ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ টিকা উপহার দেয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা এসে ১২ লাখ টিকা উপহার দেন। আর তৃতীয় দফায় ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারভানে ৮ এপ্রিল ঢাকায় এসে এক লাখ টিকা উপহার দেন।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড দিয়ে দেশে গণটিকা শুরু হয়। ওই টিকা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আনা হয়। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ কেনার চুক্তি করে বেক্সিমকো। তবে ৭০ লাখ টিকা দিয়ে সংকটের কারণ দেখিয়ে সে সময় আর টিকা দেয়নি ভারত। সাত মাস পর অক্টোবরে ২০ লাখ টিকা পাঠিয়েছে সেরাম। বর্তমানে সংকট কাটলেও ভারত থেকে টিকার জোগান আশানুরূপ নয়। সে তুলনায় চীনের সিনোফার্মের টিকা আসছে বেশি।