সরকারই কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে: রিজভী

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০২১, ০৩:১৬ পিএম

দ্রব্যমূল্যের দামবৃদ্ধির ঘটনা থেকে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতেই সরকার কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারত শেষে রিজভী এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, “করোনায় মানুষের সুচিকিৎসা ও দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন যে ঊর্ধ্বগতি তা মোকাবিলা করতে না পেরে সরকার কৃত্রিমভাবে কুমিল্লার ঘটনা ঘটিয়েছে। যাতে মানুষের দৃষ্টি ওই দিকে যায়। মানুষ যেন ওইটা নিয়েই পরে থাকে। সরকারের এই সমস্ত ব্যর্থতাগুলো যেন মানুষ আলোচনা করতে না পারে। অর্থাৎ নীলনকশা অনুযায়ী কাজ করছে সরকার।”

অত্যন্ত কৃত্রিমভাবে দেশের মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভীতি সৃষ্টি করেছে সরকার অভিযোগ করে রিজভী বলেন, “আজকে মানুষের নিরাপত্তা নেই। সংখ্যালঘুরা নিরাপদ জীবন যাপন করতে পারছে না। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে তারা জীবন-যাপন করছেন। আর অন্যদিকে পবিত্র কুরআন অবমাননা হচ্ছে। আপনারা কুমিল্লার পূজা মণ্ডপের অবস্থা দেখেছেন। সরকার নাকি সমস্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারেন। তাহলে এ ধরনের একটি ঘটনা কিভাবে ঘটল।”

দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, “আজকে যারা সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা বিভাগ তারা বিএনপি নেতাকর্মী পাতালে থাকলেও তাদের খুঁজে বের করে। আর কুমিল্লা, হাজীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা কিছুই বলতে পারল না।”

সরকারের মন্ত্রীরা একের পর এক আজেবাজে কথা বলে, মিথ্যাচার করে সমাজের মধ্যে বিভেদ-বিভাজন সৃষ্টি করছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, “কয়েকদিন আগে ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন, বিএনপি আন্দোলন করতে পারে না, তাদের আন্দোলন করার ক্ষমতা নাই। আর রোববার হাসান মাহমুদ ও ওবায়দুল কাদের সাহেব বলছেন, এই সমস্ত ঘটনার জন্য বিএনপি দায়ী।  চিকিৎসকরা জানেন, বিভেসিয়া বা স্মৃতিভ্রম নামক একটা রোগ আছে। যে রোগ হলে দুদিন আগে কি বলেছে, কি করেছে তা ভুলে যায়। আজকে ওবায়দুল কাদের সাহেব ও হাসান মাহমুদ সাহেব সেই রোগে ভুগছেন। অর্থাৎ তারা পরশুদিন যেটা বলছেন আজকে সেটার পুরোপুরি উল্টো কথা বলছেন।”

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “বিএনপি জন্মলগ্ন থেকে জনগণের পক্ষে, বিএনপি মানুষের পক্ষে কাজ করেছে। তাই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামেই জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন গড়ে উঠেছে। জিয়াউর রহমানের যে আদর্শ সেই ১৯ দফাকে ধারণ করেই জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন তাদের মানব সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জেডআরএফের নির্বাহী পরিচালক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ, জেডআরএফের ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. শাহ মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, ডা. মাসুদ আখতার জীতু, ডা. মেহেদী হাসান, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, অধ্যাপক মোঃ নূরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আহসান, প্রকৌশলী উমাশা উমায়ন মনি চৌধুরী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সর্দার মো. নূরুজ্জামান প্রমুখ।