আরেকটি গণ-অভ্যুত্থান ঘটাতে হবে: ফখরুল

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২১, ০৪:৫৯ পিএম

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “নব্বইয়ের মতো আরেকটি গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত করতে হবে। এই সরকারকে কোনোভাবেই আর সময় দেওয়া যাবে না।”

রোববার (১০ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জেহাদ দিবস উপলক্ষে শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এ কথা বলেন। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “৭১ সালে আমরা স্বাধীনতাযুদ্ধ করেছিলাম। লাখ লাখ মানুষের জীবনের বিনিময়ে স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিলাম। ১৯৯০ সালে একটি গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে দিয়েছিল। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেদিন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। আজকে আবার সে সময় এসেছে। আরও দৃঢ়তার সঙ্গে আরেকটি গণ-অভ্যুত্থান ঘটাতে হবে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “ দেশে আজকে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। জেহাদ যে কারণে রক্ত দিয়েছিল, সেই গণতন্ত্রকে আজকে আমাদের কাছ থেকে হরণ করে নেওয়া হয়েছে। আমাদের অর্জনগুলো কেড়ে নেওয়া হয়েছে। একাত্তরে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছিলাম, তা এখন আমরা ভোগ করছি না। আমাদের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ বিপন্ন। আমরা একটি নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছি।”

১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলনে রাজধানীর পল্টনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন নাজির উদ্দিন জেহাদ।

মহাসচিব বলেন, “স্বাধীনতাযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা মানুষের জন্য যে ভালো জিনিসগুলো লাভ করেছিলাম, তা এ দানবীয় সরকার (আওয়ামী লীগ সরকার) কেড়ে নিয়েছে। এ সরকার অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। আদালতকে ব্যবহার করে ২০১২ সালে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে। তারপর বেআইনিভাবে প্রায় ১৪ বছর ধরে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে।”

ফখরুল বলেন, “আজ আমাদের কোনো কিছু অবশিষ্ট নেই। এ সরকার বিচার বিভাগ, আমাদের পার্লামেন্ট, প্রশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই হাসিনা সরকারকে কোনোভাবেই আর সময় দেওয়া যাবে না।”

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও ফজলুল হক মিলনের পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্র নেতা শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন, সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাবেক এমপি বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন, সাবেক এমপি বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, সাবেক ছাত্রনেতা ডেমোক্রেটিক লীগের মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।