ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ

​​​​​​​জানালায় জালের সুপারিশ এত পরে কেন?

সুব্রত চন্দ প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২১, ০৫:২২ পিএম

ঘড়ির কাঁটা তখন রাত ১০টা ছুঁই ছুঁই। একটু পরেই টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনে প্রবেশ করবে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী আন্তনগর ট্রেন উপবন এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনের মাঝখানের একটি বগিতে বসে নিজেদের মধ্যে গল্প করছিলেন বেনারসি শাড়ি তৈরির পাঁচ কারিগর। হঠাৎই জানালার ফাঁক গলে তাদের দিকে ছুটে আসে কয়েকটি পাথর। কিছুই বুঝে ওঠার আগে আহত হন চারজন।

গত শুক্রবার (১ অক্টোবর) গাজীপুরের টঙ্গীতে রেললাইনের পাশ থেকে ছোড়া দুর্বৃত্তদের ঢিলের আঘাতে এভাবেই আহত হন নরসিংদীর কবির মিয়া (৩৮), শুক্কুর আলীসহ (৩২) কিশোরগঞ্জের দুই যাত্রী। তাদের মধ্যে কবির ও শুক্কুরের চোখ অল্পের জন্য বেঁচে যায়। গুরুতর না হলেও বাকি দুইজনের মাথায় ও হাতে আঘাত লাগে। পরে দুইজনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ও বাকি দুইজনকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এ ঘটনার মাত্র তিন দিন আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নামের একটি কমিউটার ট্রেনে ঢিল মারে দুর্বৃত্তরা। ঢিলের আঘাতে গুরুতর আহত হন জানালার পাশে বসে থাকা জসিম উদ্দিন (৪০) নামের এক ভ্রাম্যমাণ হকার। মাথায় আঘাত নিয়ে পরে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল আখাউড়া পৌর এলাকার এই বাসিন্দাকে।

শুধু এই দুটি ঘটনা নয়, সাম্প্রতিক সময়ে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে। রেল মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে ১১০টি। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৯ জন। ট্রেনের জানালার কাচ ভেঙেছে ১০৩টি।

উদ্বিগ্ন কিন্তু সমাধান মিলছে কি

চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন রেলপথ মন্ত্রণালয়ও। এই সমস্যার সমাধানে গত ২৯ সেপ্টেম্বর রেল ভবনে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনসহ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ রোধে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ রোধে করা সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে মানুষের মাঝে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, যেসব স্থানে সবচেয়ে বেশি পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে সেখানে নিরাপত্তা জোরদার করা ও নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা, এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, মসজিদ ও স্কুলের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে জনসাধারণকে সচেতন করা, গণমাধ্যমে এর কুফল সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা চলানো এবং ট্রেনের জানালায় তারের জাল বসানো।

মন্ত্রীর আশ্বাস

গত রোববার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর রেলভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশের কথা নিশ্চিত করেন রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, ‍“সাম্প্রতিক সময়ে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের হার বেড়েছে। পাথরের আঘাতে ট্রেনের গার্ড, কর্মচারী ও যাত্রীরা আহত হয়েছেন। এমনকি চোখ হারানো ও মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটেছে। আমরা এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে চাই এবং এটি রোধে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে চাই।”

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আরও বলেন, “চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের যতগুলো ঘটনা ঘটেছে, তার প্রতিটিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পাথর নিক্ষেপকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। মামলা করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদনও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু একটি ক্ষেত্রেও অভিযুক্তদের সাজা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, এসব পাথর নিক্ষেপকারীর বেশির ভাগই অপ্রাপ্তবয়স্ক, ছোট শিশু, টোকাই, ভবঘুরে কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীন। যে কারণে সাজা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।”

শেষ পর্যন্ত সমাধান কি মিলল

চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ রোধে এবং যাত্রীদের সুরক্ষায় রেলপথ মন্ত্রণালয় সাম্প্রতিক যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে জনগণের ভেতর ইতিবাচক সাড়া দেখা গেছে। বিশেষ করে ট্রেনের জানালায় তারের জাল বসানোর বিষয়টি প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধ না করা গেলেও অন্তত যাত্রীদের পাথরের আঘাত থেকে সুরক্ষিত রাখা যাবে। তবে বছরের পর বছর ধরে পাথর নিক্ষেপের ফলে বহু মানুষ হতাহত হলেও এই পদক্ষেপ নিতে রেলওয়ের এত দেরি হওয়ায় ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন অনেকে।

উদ্যোগটি ভালো, কিন্তু এত দেরিতে কেন

ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেসের যাত্রী মামুনুর রশিদ বলেন, ‍“মাঝে মাঝেই চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে অনেক সময় যাত্রীরা গুরুতর আহত হয়। এমনকি কয়েক বছর আগে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। অথচ এ নিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এত বছরে সমস্যাটির সমাধান করতে পারেনি। এখন শুনছি জানালায় তারের জাল বসানো হবে। এটি ভালো উদ্যোগ। তবে এই পদক্ষেপ আরও আগে নেওয়া উচিত ছিল। তাহলে এত মানুষকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হতো না।”

পরিসংখ্যান

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ২০১৭ সালে সারা দেশে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে দেড় শতাধিক। এতে ১৪ জন রেলওয়ের কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ দুই শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। ২০১৮ সালে চলন্ত ট্রেনে ছোড়া পাথরের আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে মারা যান রেলওয়ের টিআই শিকদার বায়োজিদ। ২০১৯ সালে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে পাঁচ শতাধিক। ২০২০ সালে করোনাকালেও বন্ধ ছিল না এই ঘৃণিত কাজটি। এর আগে ২০১৩ সালেও পাথরের আঘাতে প্রীতি দাশ নামের এক প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছিল। তখন বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে বেশ আলোচনারও সৃষ্টি হয়েছিল।

দায়ী কে

চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের জন্য ছোট শিশু, টোকাই, ভবঘুরে ও মানসিক ভারসাম্যহীনদেরই দায়ী করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ ধরনের ঘৃণিত কাজের সঙ্গে জড়িতদের জেল-জরিমানা এমনকি মৃত্যুদণ্ডের মতো সাজার বিধান থাকলেও অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় এখন পর্যন্ত আদালতের মাধ্যমে কাউকে সাজা দেওয়া যায়নি বলেও স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ রেলওয়ের বিরুদ্ধে গভীর ‘ষড়যন্ত্র’ বলে মনে করছে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন। তাদের দাবি, একটি স্বার্থান্বেষী মহল পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে এই নিরাপদ বাহনটিকে অনিরাপদ করে তুলছে। মানুষের জীবন যেমন বিপন্ন করছে, তেমনি ক্ষতি করছে রেলওয়ের। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে এই পরিবহনটিকে নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে। ট্রেন ভ্রমণে আগ্রহ হারাচ্ছে যাত্রীরা। কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এর সঙ্গে জড়িত দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

রেল খাতকে ধ্বংস করতে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ সড়ক পরিবহন মালিকদের ‘ষড়যন্ত্র’ কি না, সেটি খতিয়ে দেখারও আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

সড়ক পরিবহন মালিকরা কেন এমন ষড়যন্ত্র করবে, জানতে চাইলে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি’র সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, “রেল খাত ধ্বংস হলে সবচেয়ে বেশি লাভ সড়ক পরিবহন খাতের। চলন্ত ট্রেনে এভাবে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটতে থাকে তাহলে যাত্রীরা এটিকে অনিরাপদ মনে করবে। যাত্রীদের মনে ট্রেন ভ্রমণের অনীহা সৃষ্টি হলে, তারা সড়কপথে চলাচল করবে।”

এছাড়া রেল খাতটাকে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দিতেও এই ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখার আহ্বান জানান মো. মনিরুজ্জামান মনির।

পাথর নিক্ষেপ পরিকল্পিত!

একই ধরনের শঙ্কা প্রকাশ করেন ‘রেলকে ঘিরে’ বইয়ের লেখক জয়দীপ দে। তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “দেশে এখন রেললাইন আছে প্রায় তিন হাজার কিলোমিটারের মতো। কিন্তু রেল মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বক্তব্য অনুসারে মাত্র ২০টি নির্দিষ্ট স্থানে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সব কটি স্থানই বাণিজ্যিক এবং রেলের গুরুত্বপূর্ণ স্থান। অর্থাৎ এটি পরিকল্পিত। এছাড়া যখনই রেলের নতুন কোচ বা বগি আসে, তখনই পাথর নিক্ষেপের ঘটনা বেড়ে যায়। শিশুরা যদি খেলার ছলে ঢিল মারে, তারা তো নতুন বগি, নতুন কোচ দেখে ঢিল মারবে না। তারা তো সারা বছরই মারবে।”

রেলের পাথর নিক্ষেপ নিয়ে ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে জয়দীপ আরও বলেন, “আমাদের পাশের দেশ ভারত যদি ভালোভাবে ট্রেন চলাতে পারে, তাহলে আমাদের কেন তারের জাল বা গ্রিল দেওয়া লাগবে? রেলমন্ত্রীর বক্তব্য অনুসারে যেহেতু নির্দিষ্ট ২০টি স্থানে এমন পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে, তাহলে সেসব এলাকার থানাকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া উচিত।”

পাথর নিক্ষেপকারীকে ধরিয়ে দিলে পুরস্কার

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা রেলওয়ের পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, “চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ রোধে আমরা সব সময় সচেষ্ট রয়েছি। আমরা গুরুত্বসহকারে এটি প্রতিরোধে কাজ করছি। আমরা ইতোমধ্যে রেললাইনের পাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মসজিদগুলোতে সচেতনতামূলক বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে সবাইকে বোঝানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে আশা করছি এই সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।”

শুধু সচেতনতা নয়, পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান সাইফুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, “পাথর নিক্ষেপকারী কাউকে যদি আমরা শনাক্ত করতে পারি, তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পাশাপাশি পাথর নিক্ষেপকারী কাউকে ধরিয়ে দিতে পারলে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণাও করা হয়েছে।”

আরও নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে

ট্রেনের জানালায় তারের জাল বসানোর সিদ্ধান্ত নিতে এত দেরি কেন, জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) মিহির কান্তি গুহ সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ ঠেকাতে আমরা প্রতিনিয়ত পদক্ষেপ নিচ্ছি। যাত্রীদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এখন জানালায় তারের জাল বসানোর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আগে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি দেখে এখন বা ভবিষ্যতে নেওয়া যাবে না, এমন তো কোনো কথা নেই। এই সমস্যার সমাধানে আরও নতুন নতুন পদক্ষেপও নেওয়া হতে পারে।”

রেল খাতকে ধ্বংস করতে কোনো স্বার্থন্বেষী মহল পাথর নিক্ষেপের ‘ষড়যন্ত্র’ করছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এই ধরনের কথা যারা বলে তাদের আগে জিজ্ঞেস করা দরকার তারা এসব তথ্য কোথায় পেয়েছে? কেন তারা এমনটা মনে করছে। এমন দাবি যদি কেউ করে থাকে তাহলে এটি আগে গবেষণা করতে হবে, তারপর এটি নিয়ে কথা বলতে হবে।”

১৮৯০ সালের বাংলাদেশ রেলওয়ের আইনের ১২৭ ধারা অনুযায়ী, কেউ চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করলে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। এছাড়া নিক্ষিপ্ত পাথরের আঘাতে যদি কারও মৃত্যু হয়, তাহলে ৩০২ ধারা অনুযায়ী দোষী ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ডেরও বিধান রয়েছে। কিন্তু তারপরও থামানো যাচ্ছে না চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ। বরং দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে।