মার্চেন্ট ও ভোক্তাদের সংবাদ সম্মেলন

ই-ভ্যালির রাসেলের মুক্তিসহ ৭ দাবি 

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০২১, ০১:১৯ পিএম

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের মুক্তিসহ সাত দাবি জানিয়েছেন মার্চেন্ট ও ভোক্তারা।

রোববার (৩ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (‌ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দা‌বি জানানো হয়। 

ইভ্যালি মার্চেন্ট এবং ভোক্তাদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সমন্বয়ক মো. নাসির উদ্দিন এবং কো-সমন্বয়ক সাকিব হাসান।

মার্চেন্ট ও ভোক্তাদের সাত দা‌বি হচ্ছে—

১. ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে মুক্তি দিতে হবে।

২. রাসেলকে নজরদারির মাধ্যমে দিকনির্দেশনা দিয়ে ব্যবসায় করার সুযোগ দিতে হবে।

৩. স্ক্রো সিস্টেম চালু হওয়ার আগে অর্ডার করা পণ্য ডেলিভারি দিতে রাসেল সময় চেয়েছে, আমরা তাকে সময় দিয়ে সহযোগিতা করতে চাই।

৪. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ই-ক্যাব, পেমেন্ট গেটওয়ে, মার্চেন্ট এবং ভোক্তা প্রতিনিধিদের সমন্বয় কমিটি গঠন করতে হবে।

৫. করোনাকালে বিভিন্ন খাতের মতো ই-কমার্স প্লাটফর্মগুলোকে প্রণোদনা দিতে হবে।

৬. ই-কমার্স প্লাটফর্মগুলোকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাধ্যতামূলক লাইসেন্স নিতে হবে ব্যাংক গ্যারান্টিসহ।

৭. ই-কমার্স বাংলাদেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত, যেখানে হাজার হাজার উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে এবং লাখ লাখ কর্মসংস্থান হচ্ছে। এ সেক্টরকে সরকারিভাবে সুরক্ষা দিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানা‌নো হয়, আমরা ইভ্যালির প্রায় ৭৪ লাখ গ্রাহক ও প্রায় ৩৫ হাজারের বে‌শি বিক্রেতা এবং পাঁচ হাজারের বেশি স্থায়ী-অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী ইভ্যালির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রথম সারির ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান, সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ডিজিটাল মার্কেট প্লেসে ভোক্তাদের পণ্য ক্রয়ে উদ্বুদ্ধ করা এবং নতুন হাজার হাজার উদ্যোক্তা তৈরিতে ইভ্যালির ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।