‘দেশে বিশৃঙ্খলা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে’

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১, ০৪:০২ পিএম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “সহিংসতা-জ্বালাপোড়াও করে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি নষ্ট করতে চাইলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।”

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ‌্যাভিনিউয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘মানবতার আলোকবর্তিতা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল‌্যাণ উপ-কমিটি।

এ সময় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আজকে সিরিজ বৈঠক করছেন, সিরিজ বৈঠক তো নয়, ষড়যন্ত্র বৈঠক। আবারো জ্বালাও পোড়াওয়ের ইচ্ছা বোধ হয় আপনাদের আছে। সেই দুরভিসন্ধি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।”

কাদের বলেন, “একটি কথা মনে রাখবেন যে, এবার যদি কোনোপ্রকার সহিংসতার আশ্রয় নেন, দেশে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন; শেখ হাসিনার এই অর্জন, অনন্য সাফল্য নষ্ট করতে চান, তাহলে জনগণকে সঙ্গে দিয়ে তার দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত।”

প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘ সফরে কোনো অর্জন নেই বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আজকে অবাক লাগে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সফরে কোনো অর্জন নেই। ফখরুল সাহেব দুনিয়ার কোনো খবর রাখেন না। জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রত্যেকটি ফোরামের বক্তব্য, মূল অধিবেশনে শেখ হাসিনার বক্তব্য সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।  বাংলাদেশের সুনাম মর্যাদাকে শেখ হাসিনা নতুন মাত্রায় উন্নীত করেছেন।”

মির্জা ফখরুলকে নিউ ইয়র্ক টাইমসের মন্তব্যটি পড়ার পরামর্শ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “নিউ ইয়র্ক টাইমস আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে বলছে, দারিদ্র্যের ব‌্যাপারে কি করবেন, বাংলাদেশের দিকে তাকান। শেখ হাসিনার দিকে তাকান। দারিদ্র্য বিমোচন কিভাবে করতে হয় শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়েছেন।”
 
কাদের আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা সাহস করে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা বলতে পেরেছেন। ফখরুল সাহেব বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে সরকার কিছু বলেনি। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের নিজেদের সমস্যা-সংকট আছে, এর ভেতরেও এতদিন ধরে আমরা মিয়ানমারের ১১ লাখ নাগরিককে জায়গা-আশ্রয়-খাবার দিচ্ছি। এই সমস্যা সমাধানে বিশ্বের বড় দেশগুলো আমাদের জন্য কিছুই করেনি। সাহস করে বঙ্গবন্ধু কন্যা এই সত্য উত্থাপন করেছেন।”

এ সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে কাদের বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করতে আপসহীন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি এসেছিলেন বলেই মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছেন। তিনি এসেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। যে আওয়ামী লীগকে বিএনপি নেত্রী বলেছিল একশ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না, সেই আওয়ামী লীগ মোট ১৮ বছর টানা অতিক্রম করছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় দেশের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।”

এ সময় মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।