চাকরির প্রলোভন ও বন্ধুত্ব করে প্রতারণা করত তারা

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১, ০২:২৯ পিএম

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চাকরির প্রলোভন ও বন্ধুত্ব করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি।

শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ডিবির লালবাগ বিভাগ। গ্রেপ্তাররা হলেন মো. কবির হোসেন, মো. শামসুল কবীর ও মো. ইয়াসিন। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের ২৫৭টি চেক বই, ২৩৪টি ডেবিট কার্ড, ৮টি  মোবাইল ফোন ও ১১টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, তারা কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে এই প্রতারণা করতেন। একটি গ্রুপ প্রথমে ভুক্তভোগীর সঙ্গে যোগাযোগ করে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতেন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদেশে চাকরির প্রলোভন দেখাতেন।

হাফিজ আক্তার আরও জানান, প্রতারক চক্রটি ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা জমা নিতেন। তারা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুক্তভোগীকে দিতেন। এছাড়া ফেসবুকে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে ভুক্তভোগীকে উপহার পাঠানোর কথা বলে কাস্টমস কর্মকর্তা সেজে ফোন দিতেন এবং অর্থ হাতিয়ে নিতেন।

ডিবির প্রধান আরও জানান, গ্রেপ্তার কবিরের কাজ ছিল প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া অর্থ বিভিন্ন গ্রুপ থেকে সংগ্রহ করে ম্যানেজারকে পৌঁছে দেওয়া। এই কাজে কবিরের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন ইয়াসিন। ম্যানেজার সেই টাকা তাদের কথিত বসকে পৌঁছে দিতেন। তারা প্রত্যেক দিন ১০-১৫ লাখ টাকা লেনদেন করতেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তবে মাঠপর্যায়ে কাজ করা কবির, শামসুল ও ইয়াসিন মাসিক বেতনে কাজ করতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রাজধানীর কদমতলী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। এই প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন এ কে এম হাফিজ আক্তার।