বাংলাদেশের বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও দ্বিতীয় কার্গো গেট উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী জনাব খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী নিত্যানন্দ রাই।
শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১২ টার সময় দুই দেশের মন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও দ্বিতীয় কার্গো গেট উদ্বোধন করা হয়।
এই প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও দ্বিতীয় কার্গো গেট উদ্বোধন করাতে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত ও আমদানি রফতানি বাণিজ্য আরো বৃদ্ধি পাবে।
জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে প্রতিবছর চিকিৎসা, ব্যবসা, শিক্ষা গ্রহণ আর ভ্রমণে প্রায় ১৮ লাখ পাসপোর্টধারী যাত্রী বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দু’দেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। বাণিজ্য ও যাত্রী যাতায়াত সহজ করতে ভারত সরকার যাত্রী টার্মিনাল এবং কার্গো টার্মিনালের উদ্বোধন করেন।
এর আগে ভারত প্রবেশে যাত্রী চাপ বাড়লে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে রোদ বৃষ্টিতে ভিজতে হতো যাত্রীদের। এই টার্মিনাল তৈরি হওয়াতে সেই দুর্ভোগ থেকে যাত্রীদের মুক্তি মিলবে। পাশাপাশি একই ছাদের নিচে থাকছে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন সেবার কার্যক্রম। ১৩০৫ স্কয়ার ফিট আয়তনের যাত্রী টার্মিনালটিতে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা থাকছে ৫৫০জন।
এছাড়া ভবনটিতে ৩২টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার, ৪টি কাস্টমস কাউন্টারও ৮টি সিকিউরিটি কাউন্টার রয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের নৌ ও পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহামুদ চৌধুরী বলেন, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ইতিহাস দীর্ঘদিনের। ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্নভাবে ভারত বাংলাদেশকে সহায়তা করেছিল। করোনাকালীন সময়েও তারা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বাণিজ্য গতিশীল আর পাসপোর্ট যাত্রীর দূর্ভোগ কমাতে ভারত সরকার উদ্যোগ নিয়ে যে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও কার্গো গেট তৈরি করেছে তাতে দুই দেশ উপকৃত হবে।”
এমন উদ্যোগ দু’ দেশের সম্পর্ক আরও অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলেও মত প্রকাশ করেন নৌ ও পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহামুদ।
এ সময় ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যনন্দ রায় বলেন, “ভারতের প্রতিবেশি আর সবচাইতে কাছের বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশ। চিকিৎসা, ব্যবসা, শিক্ষা ও ভ্রমণে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। তারা যেন নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দে যাতায়াত করতে পারে বিষয়টি মাথায় রেখে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল তৈরি করা হয়েছে। রেল পথে বাণিজ্য প্রসারের দিক বিবেচনা করে কার্গো টার্মিনাল তৈরি করা হয়েছে।”
আগামীতে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ এই সর্ম্পক আরো বাড়বে জানান তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মো: আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই-কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো: আজিজুর রহমান, বেনাপোল বন্দর পরিচালক মো: মনিরুজ্জামান, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা, নাভারণ সার্কেলের এএসপি মোঃ জুয়েল ইমরান ও বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব প্রমুখ।