ফোনালাপ মিডিয়ায় প্রচার করা উচিত নয়: হাইকোর্ট

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১, ০৯:৩১ পিএম

ফোনে আড়িপাতা এবং ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। 

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ফোনে আড়িপাতা বন্ধে দায়ের করা রিটের শুনানিতে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

আদালত বলেন, “ফোনে কথা বলা দুই পক্ষের মধ্যে এক পক্ষ, আবার তৃতীয় পক্ষও ফোনালাপ ফাঁস করতে পারে। তবে এখানে কোন পক্ষের কী স্বার্থ আছে, তা জানি না। আড়িপাতা ও ফোনালাপ মিডিয়ায় সগৌরবে প্রচার করাও উচিত নয়।”

আদালত আরও বলেন, “ফোনালাপ যখন মিডিয়ায় ফাঁস করা হয়, তখন ব্যক্তির গোপনীয়তা ক্ষুণ্ন হয়। সামাজিকভাবে ওই ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হন। তবে কারা ফোনালাপ ফাঁস করে, তা আমরা জানি না। তবে ফোনালাপ ফাঁস করা উচিত নয়। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম, বিটিআরসিসহ সব পক্ষের সজাগ থাকা দরকার।” 

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি ফোনে আড়িপাতা বন্ধে ৭ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। 

নোটিশে ফোনালাপে আড়িপাতা প্রতিরোধে আইন অনুযায়ী বিটিআরসি কী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৬টি আড়িপাতার ঘটনা নোটিশে উল্লেখ করা হয়। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় এ রিট করা হয়।

রিটকারী আইনজীবীরা হলেন- অ্যাডভোকেট রেজওয়ানা ফেরদৌস, উত্তম কুমার বণিক, শাহ নাভিলা কাশফী, ফরহাদ আহমেদ সিদ্দীকী, মোহাম্মদ নওয়াব আলী, মোহাম্মদ ইবরাহিম খলিল, মুস্তাফিজুর রহমান, জি এম মুজাহিদুর রহমান (মুন্না), ইমরুল কায়েস ও একরামুল কবির।

রিটে ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) বিবাদী করা হয়েছে।

এ সময় আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। 

আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। 

এছাড়া বিটিআরসির পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রেজা ই রাকিব।