‘মাংস এখন ভিআইপি খাবার হয়ে গেছে’

খাদিজা নিপা প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০২৩, ০৯:৪৩ পিএম

অনিয়ন্ত্রিত নিত্যপণ্যের বাজারে সাধারণ মানুষ এখন দিশাহারা। পরিবার-পরিজন নিয়ে মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত, সব শ্রেণির মানুষেরই নাজেহাল অবস্থা। বর্তমান সবকিছুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গরুর মাংসের দামও কেজিতে ৩০-৫০ টাকা বেড়েছে। যদিও খাসি-ছাগলের মাংসের দাম অপরিবর্তিত।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছাগল ও খাসি আগের দামেই অর্থাৎ ছাগল ৯০০-১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সোমবার (১০ এপ্রিল) কারওয়ান বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া যায়।

গরুর মাংসের দাম জিজ্ঞেস করতেই কারওয়ান বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, “ব্যবসা ভালো না। বেচাকেনা নাই, কাস্টমার নাই। অবস্থা খুব খারাপ আমাদের। এত দামি জিনিস কে নেবে বলেন? এক কেজি গরুর মাংসের দাম ৭৫০ টাকা। ছাগল-খাসি ১ হাজার-১২০০ টাকা পরে। এই মাংস খাইতে গেলে এই খরচে কেউ নেবে? সম্ভব না।”

দাম বেড়েছে কেন জানতে চাইলে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, “গাবতলীর হাটে গিয়া জিজ্ঞেস করেন। মালের দাম অনেক বেশি। ১ লাখ ২০ হাজার টাকার গরু ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সবকিছুরই তো দাম বেশি। ব্যবসা ভাল না আমাদের। খাসি কন গরু কন, এইটা তো এখন সাধারণ মানুষ কিনতে পারে না। এইটা তো এখন ভিআইপি খাওন হয়ে গেছে।”

খাসি, ছাগলের দাম কর জানতে চাইলে সেই বিক্রেতা বলেন, “খাসি কেজি প্রতি ১১০০ টাকা। আর ছাগল ৯০০ টাকা। গোশতের দাম তো বাড়ে নাই। কিন্তু বেচাবিক্রি নাই। তবে গোশতের যে দামে তাতে তো আমরা কিনতে পারি না। আমরাই যখন কিনতে পারি না, তখন বিক্রি করব কীভাবে? আমরা চাই বাজার কমুক। বাজার কমলে আমাদের বিক্রি ভাল হবে।”

এদিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত দাবি করে ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা এক ক্রেতা বলেন, “দাম কমেছে কিন্তু আরও কমা উচিত। কারণ আমরা যারা মধ্যবিত্ত তাদের জন্য কষ্ট হয়ে যায়। সীমিত আয়ের মানুষ আমরা,আয় তো বাড়ে না কিন্তু প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়তি। আমাদের জন্য কষ্ট হয়ে যায়।

কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক মাস আগে ২৫০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি হচ্ছিল। বর্তমান ব্রয়লার মুরগি ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। দেশি মুরগি ৬৫০ টাকা, সোনালি মুরগির দাম ৩৬০ টাকা কেজি।