বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে পরিবারের করা আবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মতামত দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছিলেন, চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আবারও কারাগারে যেতে হবে। কারাগারে গিয়ে বিদেশ যাওয়ার আবেদন করা না হলে তা বিবেচনা করা হবে না।
এ সময় আইনমন্ত্রী আরো বলেছিলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারা অনুযায়ী সরকারের অনুমতি নিয়ে খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে আবারও তাকে জেলে যেতে হবে। এরপর নতুন করে আবেদন করতে হবে। কারণ যে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেটার আলোকে তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সেই আবেদন নিষ্পতি হয়ে গেছে।
তবে গত মে মাসে খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমোদন চেয়ে আবেদন করে তার পরিবার।
করোনা আক্রান্ত হয়ে দুই দফা রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর বিএনপি চেয়ারপারসন এখন গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় অবস্থান করছেন। এরই মধ্যে করোনার দুই ডোজ টিকাও নিয়েছেন তিনি।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের দেওয়া ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২ বছর ১৭ দিন কারাভোগের পর করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান তিনি। এরপর তিন দফায় ছয় মাস করে বাড়ানো হয় জামিনের মেয়াদ।