‘ভারতের গ্রেপ্তার পুলিশ কর্মকর্তাকে ফিরিয়ে আনা হবে’

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৫, ২০২১, ০২:০৪ পিএম

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের কথিত পৃষ্ঠপোষক বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন (ডিএমপি) পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, “যেহেতু ভারতে মামলা হয়েছে এ কারণে তাকে ফিরিয়ে আনা যাবে কি-না সেটি নিশ্চিত না। তবে ফিরিয়ে আনার রাস্তা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিএসএফকে চিঠি দিয়ে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।” 

ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি ফিরিয়ে আনার জন্য। যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হয় তাহলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তাকে ফেরত আনার চেষ্টা করবে। তার (পরিদর্শক সোহেল রানা) ব্যাপারে গুলশান বিভাগ পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে রিপোর্ট পেলে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

এর আগে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা সোহেল রানাকে আটক করে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পরিচালক (অপারেশন্স) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, “আমরা শুনেছি সোহেল রানা ভারতে আটক হয়েছেন। তবে বিএসএফের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত এ রকম কোনো তথ্য পাইনি।”

এদিকে শুক্রবার থেকে সোহেল রানা কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন জানিয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া বলেন, “তিনি (সোহেল রানা) গতকাল (শুক্রবার) থেকে অফিস করছেন না। কোথায় আছেন এবং তার সর্বশেষ অবস্থান আমাদের জানা নেই।”

ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের করা ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলার তদন্ত চলছে। এ মামলায় এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রধান তিন আসামি সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও প্রতিষ্ঠানের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরী।

সোনিয়া মেহজাবিন কাগজে-কলমে ই-অরেঞ্জের মালিক হলেও তার ভাই শেখ সোহেল রানা আড়ালে থেকে সব ধরনের পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ডে থাকার সময় ই-অরেঞ্জের সাবেক সিওও নাজমুল আলম রাসেল এমন তথ্য দিয়েছেন।