জিয়ার মাজারে যেতে বাধার অভিযোগ বিএনপির

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২১, ০৪:৫৮ পিএম

দলের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি।  

বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। তারা প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর সমালোচনা করে তার প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ওনাকে ওনার নিজের চ্যালেঞ্জ নিতে বলেন। উনি নিজে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কি না, সেটা আগে প্রমাণ করুক।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ৪৩ বছরে সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে। এ লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়েই বিএনপি আজকে ৪৪ বছরে পা দিয়েছে। আজকে বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা ও পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। হত্যা করা হয়েছে সহস্রাধিক নেতাকে। এত কিছুর পরও বিএনপি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে নিজের পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। আমরা সীমিত পরিসরে আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি, দলকে সংগঠিত করছি, সাধারণ মানুষের দাবিদাওয়া নিয়ে রাস্তায় আন্দোলন করছি।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মাজারে আসতে নেতাকর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আমাদের লজ্জা হয়, দুঃখ হয়। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমরা যখন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে আসি তখন আমাদের বাধা দেওয়া হয়। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালানো হয়, গ্রেপ্তার করা হয়। আজকে এখানে ৩০ জনের বেশি আসা যাবে না বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এই এলাকায় নাকি আরও বড় নিরাপত্তা বলয়ে চলে গেছে। তারা সম্পূর্ণভাবে বাধার সৃষ্টি করছে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমানের কবর এবং তার মরদেহ নিয়ে যারা কথা বলে, এসব বিষয়ে কথা বলতে আমাদের রুচিতে বাধে। এটা জাতির দুর্ভাগ্য স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে এসব কথা বলা হয়। আমরা খুব পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জাতির সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। তার ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতার আন্দোলন শুরু হয়েছে। সুতরাং তাকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের অস্তিত্ব চিন্তা করা যায় না।”

এ সময়ে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) আক্তারুজ্জামান, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের রফিকুল আলম মনজু, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু উপস্থিত ছিলেন।