ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালিতে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা দিলেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি যমুনা গ্রুপ। বর্তমানে ইভ্যালিতে নিরীক্ষা চালাচ্ছে তারা। এই নিরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলেই বিনিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে তারা।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন যমুনা গ্রুপ পরিচালক (মার্কেটিং, সেলস অ্যান্ড অপারেশনস) ড. মোহাম্মদ আলমগীর আলম।
মোহাম্মদ আলমগীর আলম তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “ইভ্যালিতে যমুনা গ্রুপের বিনিয়োগের আগে ইভ্যালির গ্রাহকদের ও পণ্য সরবরাহকারীদের পাওনা বা দায়দেনা নির্ধারণের লক্ষ্যে যমুনা গ্রুপের উদ্যোগে অডিট চলছে। যেহেতু এখনো অডিট কার্যক্রম শেষ হয়নি ও অডিটের চূড়ান্ত রিপোর্ট যমুনা গ্রুপের হাতে আসেনি তাই ইভ্যালিতে বিনিয়োগের বিষয়ে যমুনা গ্রুপ এখনো চূড়ান্ত কোনো অফিশিয়াল স্টেটমেন্ট দিতে প্রস্তুত নয়। অডিট শেষ হলে যথাসময়ে যমুনা গ্রুপ তার বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত ও বিস্তারিত কর্মপদ্ধতি মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করবে।”
এর আগে ২৭ জুলাই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইভ্যালি জানিয়েছিল, যমুনা গ্রুপ ইভ্যালিতে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। আপাতত করবে ২০০ কোটি টাকা। এ ব্যাপারে তাদের একটি চুক্তি হয়েছে। যমুনা গ্রুপের কার্যালয়ে উভয় প্রতিষ্ঠানের চুক্তি হয় ২৭ জুলাই। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, চুক্তিতে সই করেন যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শামীম ইসলাম এবং ইভ্যালির এমডি মোহাম্মদ রাসেল।
ওই দিন ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল বলেছিলেন, “একটি দেশীয় উদ্যোগ হিসেবে আমাদের পাশে আরেকটি দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে পেয়ে আমরা সত্যিই আনন্দিত। যমুনার এই বিনিয়োগ ধারাবাহিক বিনিয়োগের অংশ এবং পরবর্তী ধাপেও তাদের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। এই বিনিয়োগ ইভ্যালির ভবিষ্যৎ উন্নয়ন এবং ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধিতে ব্যয় করা হবে।”
অন্যদিকে যমুনা গ্রুপের এমডি শামীম ইসলাম বলেছেন, “বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নয়নে আমরা দেখছি, স্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে আমাজন, চীনের ক্ষেত্রে আলিবাবা। তেমনি বাংলাদেশে ইতিমধ্যে নিজের একটি অবস্থান তৈরি করেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি এবং দেশের সাধারণ মানুষের স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। যমুনা ৫০ বছর ধরে দেশ ও দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করছে। এখন থেকে ইভ্যালি এবং যমুনা গ্রুপ সেই স্বপ্ন পূরণে একে অপরের অংশীদার হলো।”
এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৫ জুলাই পর্যন্ত ইভ্যালির চলতি দায় ৫৪৩ কোটি টাকা। আর ২ লাখ ৭ হাজার ৭৪১ গ্রাহকের কাছে প্রতিষ্ঠানটির দেনা ৩১১ কোটি টাকা।