বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, দেশের বরেণ্য মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বৃহস্পতিবার দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, “আজকে চারদিকে কোনো ন্যায়-অন্যায় নেই। কোনো সত্য নেই। এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। তাকে প্রতিনিয়ত অপমান করা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত তাকে নানাভাবে কটূক্তি করা হচ্ছে।”
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, “বলা হচ্ছে, তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন কি না, তার কোনো প্রমাণ নেই। কে বলছেন? স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এটা কি তিনি বলতে পারেন? দেশের বরেণ্য একজন মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার স্বাধীনতার ঘোষক তাকে নিয়ে প্রতিনিয়ত এই ধরনের কথা বলা হচ্ছে। এটা অসার বাচলতা।”
রিজভী বলেন, “আজকে চারদিকে একটি ভয় ও অন্ধকারের মধ্যে আমাদের জাগিয়ে তোলে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখনি। কাজী নজরুল ইসলাম গোটা জাতিকে সব শিকল ভেঙে সামনে এগিয়ে যাওয়ার যে তাগিদ দিয়েছেন, সেটা এক অনুপম দৃষ্টান্ত। তার কবিতা থেকেই বলতে চাই, আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে। আমরা নতুন করে সৃষ্টি করবো গণতন্ত্র। আজকে অবরুদ্ধ গণতন্ত্রকে অর্গল মুক্ত করব। আমরা ব্যক্তিস্বাধীনতা ও নাগরিক স্বাধীনতাকে নিশ্চিত করে এখানে আবার সৃষ্টি সুখের উল্লাসে অরাজকতা অমানিশা দূরীভূত করে সূর্যের আলো নিয়ে এসে বাংলাদেশকে ভরে তুলব।”
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। আমাদের জাতীয় জীবনে কাজী নজরুল ইসলামের অবদান যে কত অসীম, আমরা যখন মিছিল করি তখন প্রেরণা দেয় কাজী নজরুল ইসলাম। আমরা যখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি তখনো আমাদের প্রেরণা দেন তিনি। তার কবিতা তার গান, তার লেখনী সবকিছু আমাদের অনুপ্রাণিত করে। জাতীয় কবির মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তার আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।”
এ সময় বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ড. ওবায়দুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান মিন্টু, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।