নিত্যপণ্যের দাম কমতে শুরু করেছে, আরও কমবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
তিনি বলেছেন, “আমরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরাসরি আঘাত করতে পেরেছি। ফলে দাম কমে এসেছে। শুধু কমেনি, ভালো কমেছে।”
শনিবার (৮ সেপ্টেম্বর) নগরীর হোটেল লেকশোরে ‘রেভলিউশনারি ট্রান্সফরমেশন ইন অ্যাগ্রিকালচার ফর ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন সিকিউরিটি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী কিছু কৌশলগত ব্যবস্থা নিয়েছেন জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “তেলের দাম বেড়েছিল, এখন কমেছে। কারণ, এক কোটি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। সেখানে কম দামে বিক্রি হচ্ছে চাল, তেল। চার কোটি মানুষ সুবিধা পাচ্ছে।”
কমবেশি আমরা সবাই এই কৃষি পেশার সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “আমিও কৃষকের সন্তান। কৃষি সম্বন্ধে নতুন করে বলার কিছু নেই। এটা আমাদের আদি পেশা। একসময় পুরোপুরিভাবে কৃষির ওপর নির্ভরশীল ছিলাম, তবে সেখান থেকে কিছুটা পরিবর্তন বা বিবর্তন হয়েছে। কৃষির অনেক উন্নয়ন হয়েছে, তার মূলে ছিল স্বাধীনতা।”
তিনি বলেন, “গত ৫০ বছরে কৃষির অনেক রেভল্যুশন হয়েছে। এর মূল নায়ক কৃষক। তবে কৃষি কর্মকর্তাদের অবদানও কম নয়।
এম এ মান্নান বলেন, “একসময় মানুষ কৃষি থেকে দূরে থাকত। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কৃষি কর্মকর্তাদের অনেক সম্মান দিয়েছেন। কৃষকের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অসীম ভালোবাসা ছিল। বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন, এটাই আমাদের মূল কাজ। এটাই আমাদের মূল পেশা। এ ছাড়া ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এসব কারণে কৃষির সম্মান অনেক বেড়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের উন্নয়ন অবাক হওয়ার বিষয়। বাংলাদেশের ১৬-১৭ কোটি মানুষের ঘরে আলো জ্বলবে, বিদ্যুৎ পাব ভাবতে পারিনি। কেউ কেউ সঙ্গে সঙ্গে বলবেন গতকাল এক ঘণ্টা ছিল না! তার আগের দিন আধা ঘণ্টা ছিল না! এটা হতে পারে। এটা একটা দুর্ঘটনা, আমাদের ধৈর্যের প্রয়োজন আছে।”
নেদারল্যান্ডস অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি এম এ কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন।