বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত এক স্মরণসভায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা হামলা ও সরকারবিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগ এনে মামলা করেছে ছাত্রলীগ। এদিকে এ ঘটনায় শনিবার (৮ অক্টোবর) আটক ২৪ জনকে কোর্টে চালান করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের ১৮ নেতা-কর্মী ও ১৪০-১৫০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। শাহবাগ থানা-পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ছাত্রলীগের মামলায় আসামিরা হলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের সহসভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রুবেল হোসেন, সদস্য মো. তসলিম হোসাইন অভি ও মিজান উদ্দিন, ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আকতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. আকরাম হোসেন, সহসভাপতি আসিফ মাহমুদ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সম্পাদক আব্দুল কাদের, ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা কলেজ শাখার সহসভাপতি মো. রাকিব, বংশাল থানা ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য মো. ওমর ফারুক জিহাদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মী তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, মামনুর রশিদ, নাজমুল হাসান, মো. সাদ্দাম হোসেন, ইউসুফ হোসেন, মো. বেলাল হোসেন, মো. আবু কাউছার হাওলাদার ও মাহফুজ।
মামলার বাদী নাজিম উদ্দিন বলেন, “আমরা টিএসসিতে প্রোগ্রামে যাচ্ছিলাম। তারা (ছাত্র অধিকার পরিষদ) কিছু স্কুলের শিক্ষার্থী, বহিরাগতদের নিয়ে আবরার হত্যার বিচার চেয়ে প্রোগ্রাম করছে। এখানে তারা সরকারকে, ছাত্রলীগকে গালিগালাজ করছে। এ সময় আমরা তাদের বলি আবরার তো আমাদের ছাত্র নয়। এখানে প্রক্টরিয়াল টিম আসে, তারা জানায় এ প্রোগ্রামের অনুমোদন নেই। তারা প্রক্টরিয়াল টিম এবং আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার শুরু করে। একপর্যায়ে তাদের কিছু লোক ইট ছুড়লে আমার মাথায় এসে পড়ে। আমাদের আরও কয়েকজন আহত হয়। পরে আরও কিছু শিক্ষার্থী তাদের ধাওয়া দিয়ে বিতাড়িত করে। আমরা শাহবাগ থানায় মামলা করেছি।”
শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফা বলেন, “নাজিম উদ্দীন নামের এক ছাত্রলীগ নেতা তাদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে ছাত্র অধিকার পরিষদের ১৮ নেতা-কর্মীর নামে মামলা দিয়েছে। আমরা মামলা গ্রহণ করেছি।”
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, “ছাত্রলীগের ওপর হামলার একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার তাদের আটক করা হয়েছিল। আজ সকালে ২৪ জনকে এই মামলায় আসামি করে কোর্টে চালান করা হয়েছে।”