প্রবীণদের শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: অক্টোবর ১, ২০২২, ১২:১৯ পিএম

আজ ১ অক্টোবর, বিশ্ব প্রবীণ দিবস। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ‘পরিবর্তিত বিশ্বে প্রবীণ ব্যক্তির সহনশীলতা।’

১৯৯১ সাল থেকে প্রবীণ নাগরিকদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি বার্ধক্য সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালন করা হচ্ছে।

১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস হিসেবে মনোনীত করে। ৬০ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের প্রবীণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশের প্রবীণ নাগরিকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং তাদের সুস্বাস্থ্য ও শান্তিপূর্ণ জীবন কামনা করেছেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো দেশেও আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আমি মনে করি এই বছরের দিবসটির প্রতিপাদ্য, ‘পরিবর্তিত বিশ্বে প্রবীণ ব্যক্তির সহনশীলতা’ যথার্থ।

তিনি আরও বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের প্রবীণ নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের সংবিধানে ১৫ (ঘ) অনুচ্ছেদ সন্নিবেশ করেন। প্রবীণদের মর্যাদাপূর্ণ, দারিদ্র্যমুক্ত, কার্যকরী, স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ পারিবারিক ও সামাজিক জীবন নিশ্চিত করার জন্য জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা ২০১৩ এবং বাবা-মায়ের ভরণপোষণ আইন ২০১৩ প্রণয়ন করে।”

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মেয়াদে ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছরে বয়স্ক ভাতা চালু করা হয় জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, “এ পর্যন্ত দেশের ২৬২টি উপজেলার শতভাগ বয়স্ক মানুষ এই ভাতার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট ৫৭ লাখ প্রবীণ নাগরিক বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছেন। এ ছাড়া আত্মীয়স্বজন ও আশ্রয়হীন প্রবীণদের জন্য আটটি বৃদ্ধাশ্রম তৈরির কাজ চলছে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার প্রবীণদের সার্বিক কল্যাণে জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা ২০১৩ এবং পিতামাতার ভরণপোষণ আইন ২০১৩সহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের নাগরিক সুবিধা বাড়াতে জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা বাস্তবায়ন এবং প্রবীণ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন গড়ে তোলার যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “দেশের উন্নয়নে প্রবীণদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়তে চাই। আমাদের সরকার এই লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা ও বেসরকারি সংস্থা প্রবীণদের কল্যাণে এগিয়ে এলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।”