কুমিল্লার সাত কলেজছাত্র নিখোঁজের ঘটনায় ‘মূল হোতা’ শাকির বিন ওয়ালীকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান সিটিটিসির প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।
মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “গ্রেপ্তার শাকির বিন ওয়ালী একজন চিকিৎসক৷ তিনি নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। তিনি কুমিল্লার নিখোঁজ সাত ছাত্রকে আনসার আল ইসলামে যোগদান করান। এ ছাড়াও ওই সাতজনকে তাওহিদ ও জিহাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।”
তবে, নিখোঁজদের এখনো পাওয়া যায়নি বলেও জানান সিটিটিসির প্রধান।
এর আগে, গত ২৩ আগস্ট কোচিংয়ে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যান কুমিল্লার ওই সাত শিক্ষার্থী। যাওয়ার সময় তেমন টাকা-পয়সা, মোবাইল ফোন কিংবা বাড়তি পোশাকও নেননি তারা। একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হলেও নিখোঁজ প্রত্যেকেই ছিলেন পরস্পরের পরিচিত। তাদের বয়স ১৭ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইমরান বিন রহমান, সামি, কুমিল্লা সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম, নিহাল, ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ইমতিয়াজ আহমেদ রিফাত, একই কলেজের তৃতীয় বর্ষের আমিনুল ইসলাম আলামিন ও ঢাকার ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে অনার্স শেষ করা নিলয়।