জেলিযুক্ত চিংড়ি মাছ, নকল প্রসাধনী সামগ্রী ও লাইসেন্সবিহীন ভেজাল ওষুধ উৎপাদনকারী মোট ৫টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ২০ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বিপুল পরিমাণ জেলিযুক্ত চিংড়ি, নকল প্রসাধনী সামগ্রী এবং ভেজাল ওষুধ জব্দ করা হয়।
র্যাব জানায়, রাজধানীর হাতিরঝিল, যাত্রাবাড়ী এবং নিউমার্কেট থানা এলাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা নামীদামি বিদেশি ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে নকল কসমেটিকস উৎপাদন এবং বিক্রি, মাছের আড়তে চিংড়ি মাছের মধ্যে জেলিযুক্ত করে বিক্রি, লাইসেন্সবিহীন ল্যাবরেটরিজে ভেজাল ওষুধ উৎপাদন এবং বিক্রি করে আসছিলেন।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে র্যাব-৩-এর সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক জানান, ঢাকা মহানগরীর হাতিরঝিল এলাকায় রিজন হারবাল ফ্যাক্টরিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে নকল কসমেটিকস উৎপাদন এবং বিক্রি করার অপরাধে রিজন হারবাল নামক প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ ৫ জনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অর্থদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রিজন হারবাল ফ্যাক্টরির মালিক মো. রিয়াজুল ইসলাম (৪৫), ম্যানেজার মো. মামুনুর রহমান (৪৫), সহযোগী আহাম্মেদ হাওলাদার (২৬), লাল মিয়া (২৪) ও মো. মালেক (৩৫)।
সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক বলেন, যাত্রাবাড়ী থানাধীন এলাকায় আল্লাহর দান মাছের আড়ত এবং মন্ডল ফিশ নামক দোকানে চিংড়ি মাছে জেলিযুক্ত করে বিক্রি করায় ওই দুই প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মুসা গাজীকে (৩৬) ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও মো. মোস্তফা কামালকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ফারজানা হক আরও জানান, নিউমার্কেট থানা এলাকায় স্টার ল্যাবরেটরিজ নামক লাইসেন্সবিহীন কোম্পানি ভেজাল ওষুধ তৈরির অপরাধে ল্যাবরেটরিজের মালিকসহ ৩ জনকে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া ক্রিসেন্ট ফার্মা নামক প্রতিষ্ঠানকে ভেজাল ওষুধ আমদানির অপরাধে প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ ৫ জনকে ২ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রিজন হারবাল ফ্যাক্টরির মালিক মো. রিয়াজুল ইসলাম জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় তাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।