নিত্যপণ্যের দাম বেশি রাখলে এখন থেকে কোনো জরিমানা না করে সরাসরি মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, “কারসাজি করে যারা অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করবে, জরিমানা না করে তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা করা হবে। সেই মামলায় সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত শাস্তির বিধান রয়েছে।”
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকালে মন্ত্রণালয়ে এক জরুরি সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
চাল, গম, আটা, ময়দা ও তেলসহ ৯টি নিত্যপণ্যের মূল্য এখন থেকে সরকার নির্ধারণ করে দেবে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “বৈঠকে চাল, গম, আটা, ময়দা, তেল, পরিশোধিত চিনি, ডাল, সিমেন্ট ও রড; এই ৯টি পণ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখন থেকে এসব পণ্যের মূল্য সরকার নির্ধারণ করে দেবে। মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি দেখভালের জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
সয়াবিন তেলের দাম প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, “আমরা সয়াবিন তেলের দাম পাম অয়েলের দাম কমতে দেখেছি। কিন্তু পাশাপাশি যেটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক যে ডলারের দাম (রেট) বেড়ে গেছে। যে কারণে এই দুটো হিসাব করতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে, যে সুফলটা আমরা পেতে পারতাম, আমাদের জনগণ পেতে পারত, সেটা পাচ্ছি না। আমরা ক্লোজ মনিটর করে দেখব যে, হোয়াট ইজ দ্য রাইট প্রাইস, সেটাই আমরা ডিক্লেয়ার করব।”
তিনি বলেন, “যদি আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে আমাদের নির্ভর করতে হয় তাহলে কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারের দাম উঠলে পরে এখানেও দাম বৃদ্ধি পাবে। সে ক্ষেত্রে সেটাও কতটুকু বৃদ্ধি পাওয়া উচিত, তা ঠিক করে দেওয়া হবে। এখন কথা আসছে বিভিন্নভাবে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে জিনিসের দাম কমেছে। হ্যাঁ সত্যি কথাই কমেছে।”
তিনি আরও বলেন, “আজকে বিভিন্ন ব্যাপার নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কীভাবে এটাকে কমানো যায় অথবা যথার্থ করা যায়। কমানো বলতে অনেক সময় আন্তর্জাতিক বাজারের কারণে আমরা কমাতে পারব না, কমানো সম্ভব হবে না। তবে যেটা হওয়া উচিত, তার চেয়ে বেশি দামে যেন ভোক্তাদের কিনতে না হয়, সে জন্য আমরা কিছু বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এর আগে, বাজারে পণ্যের সরবরাহ, মজুত ও আমদানি প্রক্রিয়ার অগ্রগতি বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।