ঢাকার উত্তরার কামারপাড়া এলাকায় রিকশার গ্যারেজে বিস্ফোরণে মো. আল-আমিন নামে দগ্ধ আরও একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ছয় জনে। ৩০ বছর বয়সী ওই যুবক শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) ভোর পৌনে ৩টায় দিকে তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, বিস্ফোরণে দগ্ধ আল-আমিনের শরীরের ৭৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
এদিকে, আল-আমিনকে নিয়ে ওই বিস্ফোরণে মোট ৬ জনের মৃত্যু হলো। বাকি যে দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
গত ৬ অগাস্ট ওই বিস্ফোরণের পর তুরাগ থানার ওসি মেহেদী হাসান জানান, উত্তরা কামারপাড়ার ওই ভাঙারির দোকানের পাশে রিকশা গ্যারেজ রয়েছে। ভাঙারির দোকানে পুরনো ফেলে দেওয়া মালপত্রের গুদাম ছিল। সেখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ নানা দাহ্য পদার্থও ছিল।
সেদিন দুপুরে ভাঙারির দোকানে পারফিউমের বোতল খোলার সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়। তাতে রিকশার গ্যারেজে থাকা আটজন গুরুতর আহত হন।
তাদের মধ্যে রিকশা গ্যারেজের মালিক গাজী মাজহারুল ইসলাম (৪৭), রিকশা চালক মাসুম আলী (৩৫), মিজানুর (৩৫), আলমগীর হোসেন আলম (২৩), নূর হোসেন (৬০) এবং আল-আমিনের (৩০) মৃত্যু হয়েছে।
দগ্ধ মো. শরিফুল ইসলাম (৩২) ও মো. শাহিন (২৬) এখনও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।