কোনো পরিবহন সমন্বয়কৃত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া নিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, “দাম বাড়ায় ডিজেল চালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া সমন্বয়ে শনিবার (৬ আগস্ট) বিআরটিএতে পরিবহন মালিক, শ্রমিক সংগঠনসহ অংশিজনদের বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিআরটিএর চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটা সবাই মেনে চলবেন।”
স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনমান, কৃষি উৎপাদনসহ গুরুত্বপূর্ণ খাতসমূহে বিভিন্ন ধরনের সাপোর্ট কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধির বিবেচনায় নিচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “বিশেষজ্ঞদের মতে বিশ্ববাজারে শিগগিরই জ্বালানির দাম স্থিতিশীল হতে শুরু করবে, সেটা আমাদের জন্য আশার বার্তা বয়ে আনবে।”
তিনি বলেন, “এ কথা সত্য, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়ে অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে। সরকার এ বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রেখে নেতিবাচক প্রভাব নিম্নপর্যায়ে রাখতে সচেষ্ট।”
সরকার দানবে পরিণত হয়েছে -মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আসলে এদেশে মানুষ হত্যা, জনগণের সম্পদ নষ্ট করা এবং জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে বিএনপিই মূর্তিমান দানবের রূপ নিয়েছে। যারা হত্যার রাজনীতিতে হাতেখড়ি দিয়ে রাজনীতি করে তারাই দানব, তারা দানবের চেয়েও ভয়ঙ্কর। যাদের দুর্নীতির দুর্গন্ধে ভূত পালায় তারাই সরকারের সব কাজে দুর্নীতির দুর্গন্ধ খুঁজে বেড়ায়।”
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলে জ্বালানি মূল্য আবার সমন্বয় করা হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে, যার ফলে ডলারের সঙ্গে টাকার বিনিময় হারেও প্রভাব পড়ে, এতে বিপিসিকে লোকসান গুনতে হচ্ছে।”
মিয়ানমারে ডিজেলের লিটারপ্রতি মূল্য ১১২ টাকা ৫৬ পয়সা, ভারতে ১১৪ টাকা, শ্রীলঙ্কায় ১১৭ টাকা ৪৯ পয়সা, আরব আমিরাতে ১২২ টাকা ৮০ পয়সা, নেপালে ১২৭ টাকা ৮২ পয়সা, সিঙ্গাপুরে ১৮৯ টাকা ৭৮ পয়সা এবং হংকং-এ ২৬০ টাকা ৭৫ পয়সা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “সরকার এর আগেও ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর মূল্য সমন্বয় করে, তার আগে ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় ডিজেলের মূল্য কমিয়েছিল। ভবিষ্যতেও বিশ্ববাজারে দাম কমলে অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম কমিয়ে সমন্বয় করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “পার্শ্ববর্তী দেশে জ্বালানি তেলের দাম বেশি হওয়ায় পাচারের আশঙ্কা ছিল। বিশ্ববাজারে মূল্য বৃদ্ধির ফলে ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বিপিসির লোকসান ছিল প্রায় নয় হাজার কোটি টাকা, এ প্রেক্ষাপটেই সরকারকে বাধ্য হয়ে মূল্য সমন্বয় করতে হয়েছে।”