ঢাকার উত্তরার কামারপাড়া এলাকায় ভাঙাড়ির দোকানে বিস্ফোরণে দগ্ধ আটজনের মধ্যে ৩ জন মারা গেছেন।
শনিবার (৬ আগস্ট) রাত থেকে রোববার (৭ আগস্ট) ভোরের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাদের। এর আগে শনিবার দুপুরে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন গাজী মাজহারুল ইসলাম (৪৭), আলমগীর হোসেন আলম (২৩) ও নূর হোসেন (৬০)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, গাজী মাজহারুল ইসলাম রোববার ভোরে মারা যান। এর আগে শনিবার রাত ১১টার দিকে আলমগীর হোসেন আলম এবং রাত ২টার দিকে নূর হোসেন মারা যান।
তিনটি মৃতদেহ ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় আরও পাঁচজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নুর হোসেনের শরীর ৯৫ শতাংশ, আলমের শরীর ৭০ শতাংশ আর মাজহারুলের শরীর ৩৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি অন্যরা হলেন মো. মিজান (৩৫), মো. মাসুম মিয়া (৩৫), মো. আল-আমিন (৩০), মো. শরিফুল ইসলাম (৩২) ও মো. শাহিন (২৬)।
হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন জানান, আহতদের সবার শরীরের ৪৫ থেকে ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, উত্তরা কামারপাড়া এলাকায় ওই ভাঙারির দোকানের পাশে রিকশা গ্যারেজ রয়েছে। ভাঙারির দোকানে পুরনো ফেলে দেওয়া মালপত্রের গুদাম ছিল। সেখানে হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ নানা দাহ্য পদার্থও ছিল।