বাসে ডাকাতি-ধর্ষণ, অভিযুক্তদের ধরতে কাজ করছে ডিবি

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২২, ০৯:৩৭ পিএম

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ডাকাতদলের সদস্যদের গ্রেপ্তারে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, “বাসে যেকোনো ধরনের ডাকাতির ঘটনা গুরুত্ব সহকারে দেখে পুলিশ। যদিও ওই ঘটনাটি ঢাকায় নয়, টাঙ্গাইলে ঘটেছে। তারপরও টাঙ্গাইল পুলিশের পাশাপাশি ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগও ওই ডাকাতদলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছে।”

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেলে তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে নেওয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় আয়োজিত সংবাদ এক সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

বাসে প্যানিক বাটন লাগানো নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, “বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের মতো ঘটনা রোধে ঢাকার কিছু কিছু বাসে প্যানিক বাটন বসানো হয়েছে। এর পেছনে যে খরচ, তা বহনে বাসমালিকরা রাজি না হওয়ায় সব বাসে বসানো সম্ভব হয়নি।”

ডিএমপি কমিশনার বলেন, “ডাকাতির ক্ষেত্রে প্যানিক বাটন কাজে আসবে। কারণ ডাকাতরা যদি বাসে উঠে তখন চালক প্যানিক বাটন চাপ দিলে খুব সহজে পুলিশের কাছে খবর চলে আসবে। তবে বাসে নারীদের শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের ঘটনায় অনেক সময় দেখা যায় চালক ও হেলপার জড়িত থাকেন। সে ক্ষেত্রে প্যানিক বাটন কাজে আসবে না। কারণ চালক তো তখন নিজেই অপরাধী, সে তো ওই বাটন চাপবেন না।”

এদিকে এবার পবিত্র আশুরা পালিত হবে ৯ আগস্ট (মঙ্গলবার)। ওই দিন মহররমের ১০ তারিখ।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর কমিশনার বলেন, “তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আশপাশের বিভিন্ন বাড়ির ছাদেও পুলিশ মোতায়েন থাকবে। যেসব জায়গা থেকে তাজিয়া মিছিল শুরু হবে সেসব জায়গায় আগে থেকে বোম ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে সুইপিং করা হবে। এছাড়া যেসব রাস্তা দিয়ে তাজিয়া মিছিল অতিক্রম করবে সেসব রাস্তা সম্পূর্ণ নিরাপত্তার বলয়ে বেষ্টিত থাকবে।”

তাজিয়া মিছিলের এক বা দুই দিন আগে থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকার আশপাশের হোটেলগুলোতে রেইড ও ব্লক রেইড পরিচালনা করা হবে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাজিয়া মিছিল নিয়ে কোনো ধরনের হিংসাত্মক বা অপপ্রচার বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে আমাদের নজরদারি থাকবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, “তাজিয়া মিছিলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে কোনো ধরনের তথ্য পেলে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।”

তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নাশকতার তথ্য রয়েছে কি না প্রশ্ন করা হলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “২০১৫ সালে কিছু জঙ্গি তৎপরতার কারণে তাজিয়া মিছিলে একটি ঘটনা ঘটেছিল। তবে আপাতত তাজিয়া মিছিলকে কেন্দ্র করে নাশকতার কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। গোয়েন্দা সূত্রে বা ডিএমপির সিটিটিসি সূত্রে এ ধরনের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।”