চার মাসে কয়েক কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচার

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: আগস্ট ৪, ২০২২, ০১:১৯ পিএম

হুন্ডির মাধ্যমে চার মাসে একটি চক্র কয়েক কোটি টাকা দুবাইয়ে পাচার করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের পুলিশ (সিআইডি) সাইবার স্টেশনের বিশেষ পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম। সংস্থাটির ভাষ্য, এই চক্রের সদস্যরা সাধারণ মানুষকে অনলাইনের মাধ্যমে অধিক লাভের লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছে।

সিআইডি বলছে, মাত্র চার মাসের মধ্যে কয়েক কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দুবাইয়ে পাচার করেছে একটি চক্র। এমন অভিযোগে এই চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।

এর আগে সাইবার পুলিশ সেন্টারের সাইবার মনিটরিং শাখা এমন অভিযোগ পেয়ে বরিশাল জেলায় অভিযান চালায়। অভিযানে তিনজন বাংলাদেশি এজেন্টকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তাররা হলেন রনি খান (৩২), আরজু আক্তার ২৭) ও তাসনিম রহমান (২৫)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল, তিনটি বিকাশ, নগদ এজেন্টের সিম বিভিন্ন ব্যাংকে কয়েকটি চেক বই এবং নগদ ১ লাখ ২৮ হাজার ৬৩০ টাকা জব্দ করা হয়।  

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার এস এম আশরাফুল আলম।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সিলেট সাইট নামের অনলাইন ইনভেস্টমেন্ট ব্যবসায় সাধারণ মানুষদের বিপুল টাকা আয়ের প্রলোভন দেখাত। পরে তাদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে প্রথম দিকে কিছু মুনাফা দিতেন। পরে আরও বেশি টাকা বিনিয়োগ সংগ্রহ করে সিলেট নামের ওয়েবসাইটে ডিজেবল করে দিয়ে ডিজিটাল প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই কাজে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এজেন্ট নিয়োগ করে নগদ, বিকাশ অথবা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে তারা টাকা সংগ্রহ করত। সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারের কাছে এমন তিনটি অভিযোগ আসে। এছাড়া রাজধানীর প্রেসক্লাবের সামনে গত ২৭ জুলাই সিলেট সাইটের প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা একটি মানববন্ধনও করে।

গ্রেপ্তারদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এস এম আশরাফুল আলম বলেন, এই চক্রের প্রধান হোতা আশিক ও তার স্ত্রী সানজিদা। তারা দুবাইয়ে বসবাস করছেন। তারা গত চার মাসের মধ্যে প্রায় চার কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ করেছে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জানান, এই চক্রের সদস্যরা বিকাশ, নগদ, এজেন্ট ও ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করতেন। পরে সেই টাকা দুবাইপ্রবাসী আশিক ও তার স্ত্রী সানজিদার নির্দেশে বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে জমা করে দিতো। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা মোবাইলে ব্যাংকে জমা দেওয়ার রসিদ থেকে এই তথ্য পাওয়া যায়।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার আজাদ রহমান, সাইবার পুলিশ স্টেশনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ রাজিবুল আলম এবং সাইবার পুলিশ স্টেশনের সহকারী পুলিশ সুপার কাজী আবু সাঈদ উপস্থিত ছিলেন।