করোনা প্রতিরোধে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে ঢাকা থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার খুরশিদ আলম।
সোমবার (১ আগস্ট) শোকের মাস উপলক্ষে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পক্ষকালব্যাপী সেবাপক্ষ পালন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
খুরশিদ আলম বলেন, “শিশুদের টিকাদান বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিস্তারিত জানাবেন। তিনি দেশে ফিরলেই তার সঙ্গে আলাপ করে দিন ঠিক করা হবে। আমি এটুকু বলতে পারি, আমাদের কাছে এ মুহূর্তে যে পরিমাণ শিশুদের টিকা রয়েছে, তাতে দেশের সব শিশুকে টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। কাজেই আমরা ঢাকা শহরের একটি কেন্দ্রে প্রাথমিকভাবে টিকা দেওয়া শুরু করবো। এরপর কিছু দিন পর্যবেক্ষণ করবো, তারপর আমাদের হাতে টিকা এলে শিশুদের টিকা কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাবো।”
স্বাস্থ্যের মহাপরিচালক আরও বলেন, “টিকার জন্য আমরা রেজিস্ট্রেশন করতে বলেছি। স্কুলগুলো রেজিস্ট্রেশন করে আমাদের টিকার পরিমাণ জানালে আমরা স্কুলে গিয়ে টিকা দিয়ে আসবো। এটা একটা বিশেষ টিকা, এটা চাইলেই সবসময় পাওয়া যায় না। এ টিকা দেওয়া, সংরক্ষণ এবং সিরিঞ্জ সবকিছুই আলাদা। তাই আমরা একটি টিকাও নষ্ট হতে দিতে পারি না। আমাদের চেষ্টা থাকবে এ টিকার সর্বোচ্চ ব্যবহার।”
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে সেবাপক্ষ হিসেবে ১ থেকে ১৫ আগস্ট বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ব্লাড সুগার পরিমাপ, ব্লাড প্রেসার পরিমাপ, স্বেচ্ছায় রক্তদান, বিভিন্ন সংক্রামক ও অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধক সচেতনতা কর্মসূচি, হৃদরোগ, লিভার রোগ, স্ট্রোক, জরায়ু ক্যানসার ইত্যাদি রোগ স্ক্রিনিং কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগ ও ইউনিটে বিভাগভিত্তিক স্বাস্থ্য সচেতনতা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মসূচির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফজলুল কবিরসহ কর্মকর্তা, চিকিৎসক ও নার্সরা উপস্থিত ছিলেন।