অর্থ নিয়ন্ত্রণের বুদ্ধি চাইলেন সিইসি

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২২, ০২:৩৩ পিএম

সবাইকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

তিনি বলেছেন, “অর্থশক্তিকে আমরা কীভাবে সামাল দেব? আপনারা আমাকে একটা বুদ্ধি দেন। দেশে অর্থ বেড়েছে। আমাদের সবার বাড়িতে বস্তা বস্তা টাকা। বস্তা বস্তা অর্থ আমরা নির্বাচনে ব্যয় করি। এই অর্থ নিয়ন্ত্রণ করব কীভাবে?”

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ভোটে অর্থশক্তির ব্যবহার বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “ইসিতে জমা দেওয়া প্রার্থীর নির্বাচনী খরচের হিসাবের সঙ্গে প্রকৃত খরচের মিল থাকে না। কারণ যা প্রকাশ্যে হয়, তার কিছুটা নির্বাচন কমিশনে দেখানো হয় যে, পাঁচ লাখ টাকা খরচ করেছে। তার বাইরে গিয়ে যদি আমি গোপনে পাঁচ কোটি টাকা খরচ করি, কীভাবে আপনি আমাকে ধরবেন বা আমি আপনাকে ধরব।”

ইভিএমের প্রয়োজনীয়তা ও সুবিধার কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, “লাঠি দিয়ে হকিস্টিক দিয়ে ইভিএম মেশিনটা ভেঙে ফেলতে পারবেন, কিন্তু এখানে ভোটের নড়চড় হবে না। একজন লোক যদি ১০০টা করে (ব্যালটে), পাঁচজন লোক যদি ৫০০টা করে ভোট দেয়। ভোট দিলে পাঁচজন, কিন্তু ভোট কাউন্ট হলো ৫০০। ভোটের হার তো অনেক বেশি। কিন্তু সেটি কি ৫০০ ভোট নাকি ৫ ভোট। পাঁচজন যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করল সেটি ৫০০ জনের পক্ষে। বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, সমস্যাগুলো বুঝে নিয়ে আমরা চেষ্টা করব কীভাবে ব্যালান্স করে একটি অর্থবহ, নিরপেক্ষ, দুর্নীতিমুক্ত নির্বাচন করা যায়।”

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, “আমরা প্রতিশ্রুতি যে দিচ্ছি, তার কিছু মূল্য থাকা উচিত। একেবারে যে আমরা ডিগবাজি খেয়ে যাব, তা তো নয়। সেটি হওয়ার কথা নয়। তবে আমাদের ওপর আস্থা রাখতে গিয়ে চোখ বন্ধ করে রাখলে হবে না। আপনাদের নজরদারি থাকতে হবে। আমরা কী আসলেই সাধু পুরুষ না ভেতরে ভেতরে অসাধু। সেই জিনিসটা আপনারা যদি নজরদারি না রাখেন, তাহলে আপনারাও আপনাদের দায়িত্ব পালন করলেন না। কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে। কোনো কমপ্লেইন পেলে সঙ্গে সঙ্গে আমাদেরকে পাঠান।”

২০১৮ সালের নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, “এবার ওভাবে নির্বাচন হবে, এটি আপনারা আশা করবেন না। আমরা সেটি (২০১৮ এর নির্বাচন) জানিও না, দেখিওনি। নির্বাচন নিয়ম ও আইন অনুযায়ী হবে। আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করব। পাশাপাশি আপনাদের (রাজনৈতিক দল) অনুরোধ থাকবে, আপনারাও কিছু দায়িত্ব নেবেন। দায়িত্ব নিয়ে অর্থশক্তি, পেশিশক্তি, ভোটকেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষার চেষ্টা করবেন।”