‘বিএনপির আমলে জনগণ বিদ্যুৎ পায়নি, পেয়েছিল খাম্বা’

সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২২, ০৫:৩৩ পিএম

জনগণ বিদ্যুৎ সংযোগহীন খাম্বা দুর্নীতির কথা এখনো ভুলে যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, “জনগণ বিদ্যুতের দাবিতে মিছিলে গুলির কথা, হারিকেন-কুপি নিয়ে বিক্ষোভ এবং বিদ্যুৎ ভবন ঘেরাও করার কথা ভুলেনি। বিএনপির আমলে জনগণ বিদ্যুৎ পায়নি, পেয়েছিল খাম্বা।”

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) নিজ বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিদ্যুৎ নিয়ে বিএনপি নেতাদের মন্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, “বিএনপি কোন মুখে বিদ্যুৎ নিয়ে বড় কথা বলে? তাদের কি বিন্দুমাত্র লাজ-শরম নেই? যারা দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল, যাদের শাসনামলে দিনের পর দিন অর্ধেক সময় লোডশেডিং চলত। এতে শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, তারা আজ বিদ্যুৎ নিয়ে কথা বলে।”

বর্তমান সময়ে বিশ্বের অর্থনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, “করোনার কারণে সারা পৃথিবীর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়েছে, বাংলাদেশও করোনার করাল গ্রাসের সঙ্গে সংগ্রাম করেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে নিজেদের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে।

তিনি বলেন, “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর আন্তর্জাতিক পরিণতি বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আবারও কিছুটা হুমকির মুখে ফেলেছে। যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানি মার্কেট চরম অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে, এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি যাতে বড় কোনো ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে লক্ষ্যে সরকারকে আগেভাগেই কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।”

জাপানের মতো উন্নত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশও তাদের সাড়ে তিন কোটির বেশি মানুষকে নিয়মিত বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে পারছে না জানিয়ে কাদের বলেন, “জাপানের মতো অস্ট্রেলিয়াতেও একই অবস্থা। সবাইকে এই সংকটকালীন সময়ে রেশনিং করতে হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, উন্নত দেশ আমেরিকাতেও এসএমএস এর মাধ্যমে জনগণকে এনার্জির ব্যবহার লিমিট করতে বলা হয়েছে।”

সেতুমন্ত্রী বলেন, “দেশের অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানকে চাঙা রাখার লক্ষ্যে সরকার শিল্প-কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করছে। বিশ্বব্যাপী পরিবর্তিত সংকটময় পরিস্থিতিতে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় ও বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় সরকার ও জনগণের সাধ্যের মধ্যে রাখার লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে এবং রেশনিংয়ের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ১৩০০-১৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন, সেখানে শিল্প ও কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে ১০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে দেওয়া সম্ভব হবে।”