বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার কমাতে সরকার অফিসের সময় কমিয়ে আনার কথা ভাবছে বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী। তিনি জানান, আবারও চালু হতে পারে হোম অফিস। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সবাইকে জ্বালনি সাশ্রয়ের আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি সংকট সমাধান বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, “দেশে বিদ্যুৎ ঘাটতি আছে ২ হাজার মেগাওয়াটের মতো। জ্বালানি সাশ্রয় করা গেলে এটি ৫০০ মেগাওয়াটে নামিয়ে আনা সম্ভব। পিক আওয়ারে ২ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা কমানো গেলে লোডশেডিংয়ের চাপ নাও থাকতে পারে।”
গ্রাম ও শহরে লোডশেডিং বণ্টনে ন্যায্যতা আনা কঠিন। গ্রামের মানুষকে ভুগতে হবে বেশি বলেও জানান তিনি।
তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, “সেপ্টেম্বরের পর ভারত থেকে আমদানি করা কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং এস আলম গ্রুপের বাঁশখালীর বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে এলে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন কমে এলেও সমস্যা হবে না। এই তিনটা কেন্দ্র থেকে গড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে। শুধু এলএনজি দিয়ে সংকট মোকাবিলা সম্ভব নয়।”
জ্বালানি উপদেষ্টা আরো বলেন, “বিশ্বের সব দেশ, বিশেষ করে উন্নত দেশগুলোতে এখন জ্বালানি সংকট হচ্ছে। জাপান, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ এখন জ্বালানি সাশ্রয়ে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। আমরা এর বাইরে নই। তবে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি। আমরা যুদ্ধের মধ্যেই অবস্থান করছি। এই সংকট মোকাবিলায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবাইকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হতে হবে। সন্ধ্যা ৭টার পর বিয়ের অনুষ্ঠানসহ সব ধরনের অনুষ্ঠান না করা, এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে রাখা, মসজিদেও নামাজের সময় ছাড়া বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।”