আওয়ামী লীগ ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এখানে কেউ কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেবেন না। সব ধর্মের স্বাধীনতা থাকবে।”
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
দেশে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষের বসবাস জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করি। আমরা চাই দেশ সব সময় অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে উঠবে। সব ধর্মের স্বাধীনতা বাংলাদেশে থাকবে, যেটা আমাদের পবিত্র কোরআন শরিফে বলা আছে। কেউ কারও ধর্মের অনুভূতির ওপর আঘাত করবে না বা ধর্ম পালন করায় বাধা দেবে না।”
স্বচ্ছতার সঙ্গে যারা কুসিক নির্বাচন পরিচলানার দায়িত্বে ছিলেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, “আপনারা যারা নির্বাচিত হয়েছেন মনে রাখবেন, আপনারা জনগণের প্রতিনিধি। জনগণ ভোট দিয়ে আপনাদের নির্বাচিত করেছে। যারা ভোট দিয়ে আর যারা আপনাদের ভোট দেয়নি আপনারা সবার প্রতিনিধি। কে ভোট দিয়েছে আর কে ভোট দেয়নি, সেটা বিষয় না।”
তিনি আরও বলেন, “আপনাদের দায়িত্ব প্রতিটি এলাকায় উন্নয়ন হয়, প্রতিটি মানুষের অধিকার যাতে নিশ্চিত হয় সে লক্ষ্যে কাজ করা। যখন আমি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছি তখন আমি দেশের প্রধানমন্ত্রী। কে ভোট দিয়েছে, কে ভোট দেয়নি সেটা আমার বিবেচ্য বিষয় না। প্রতিটি মানুষের উন্নয়ন আমরা লক্ষ্য। আপনার দায়িত্ব হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের যাতে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়, প্রতিটি এলাকায় যাতে সমান উন্নয়ন সেট নিশ্চিত করা। আমি মেয়র, কাউন্সিলরদের বলব উন্নয়ন পরিকল্পনা নিতে গিয়ে ভাববেন না কত কমিশন পাওয়া যাবে। এই চিন্তা যেন না থাকে, মানুষ কতটুকু উপকৃত হবে রাষ্ট্র কতটুকু লাভবান হবে, সেটা মাথায় রাখবেন।”
করোনা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে প্রতিনিয়তই খ্যদ্যদ্রব্যসহ প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রতিটি দেশেই দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ছে। অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে। ভোজ্যতেল, সারের দাম বেড়েছে। প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে।”